• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

করোনাভাইরাস কি কেয়ামতের আলামত! 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০২০  

করোনার বিস্তাররোধে দেশের সব স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েতের ওপর। 

করোনাভাইরাস এক অজানা আতঙ্ক। বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ (সা.) মানবজাতিকে সতর্ক করে বলেছেন- অন্যায়, জুলুম ও অশ্লীলতার কারণে আল্লাহ তায়ালা জালেম ও অন্যায়কারীদের ওপর অপরিচিত মহামারি চাপিয়ে দেন।

হাদিসে এসেছে-

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যখন কোনো জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারি আকারে প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তা ছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি।’ (ইবনে মাজাহ)।

চীনের করোনাভাইরাস সে রকম ইঙ্গিতই বহন করছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘করোনাভাইরাসটি সার্স বা ইবোলার চেয়েও অনেক বেশি বিপজ্জনক। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে চীনে সার্স (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) নামের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে ৮ হাজার ৯৮ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল। যার মধ্যে মারা যায় ৭৭৪ জন। সেটিও ছিল এক ধরনের করোনাভাইরাস।

করোনাভাইরাসের লক্ষণগুলো হলো কাশি, জ্বর, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া ও নিউমোনিয়া।

বিভিন্ন সময়ে অপরিচিত এসব ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কেয়ামতের বার্তা দিয়ে যায়। মানুষকে সতর্ক করে যায়। হাদিসের পরিভাষায়ও এটি পরিলক্ষিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

‘কিয়ামতের আগে ৬টি আলামত গণনা করে রাখো-

(১) আমার মৃত্যু; অতঃপর
(২) বায়তুল মুকাদ্দাস বিজয়; তারপর
(৩) তোমাদের মধ্যে বকরির পালের মহামারির মতো ঘটবে মহামারি;
(৪) সম্পদের প্রাচুর্য, এমনকি এক ব্যক্তিকে একশ দিনার দেয়ার পরও সে অসন্তুষ্ট থাকবে। তারপর
(৫) এমন সব ফেতনা আসবে, যা আরবের প্রতিটি ঘরে প্রবেশ করবে। তারপর
(৬) যুদ্ধবিরতির চুক্তি হবে; যা তোমাদের ও বনি আসফার বা রোমকদের মধ্যে সম্পাদিত হবে। অতঃপর তারা বিশ্বাসঘাতকতা করবে এবং ৮০টি পতাকা উড়িয়ে তোমাদের বিপক্ষে আসবে; প্রতিটি পতাকার নিচে থাকবে ১২ হাজার সৈন্য।’ (বুখারী)।

সুতরাং কেয়ামতের আগে এসব ফেতনায় হেফাজত থাকতে হবে। মহামারীর রূপধারণকারী এ ভাইরাস থেকে মুক্তি লাভে হাদিসের ওপর আমল করার পাশাপাশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার বিকল্প নেই। বেশি বেশি ইসতেগফার করে জুলুম থেকে বিরত থাকাও জরুরি।

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহসহ পুরো মানবজাতিকে দুনিয়ার সব অপরিচিত রোগব্যাধি থেকে হেফাজত করতে অন্যায় জুলুম ও অশ্লীলতা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।