• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

জাতিসংঘ দিবস আজ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০১৯  

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) জাতিসংঘ দিবস। ১৯৪৫ সালে ৫১টি রাষ্ট্র জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষর করার মাধ্যমে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। ২৪শে অক্টোবর বিশ্বের সকল স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রেজাতিসংঘ দিবস উদযাপিত হয়। 

১৯৪৮ সালে সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে জাতিসংঘ সনদ অনুমোদনের দিনে এ দিবস পালনের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছিল। জাতিসংঘ দিবসের পাশাপাশি একই দিনে বিশ্ব উন্নয়ন তথ্য দিবস পালন করা হয়। ১৯৭২ সাল থেকে জাতিসংঘের উদ্যোগে প্রতি বছরের ২৪ অক্টোবর এ দিনটি বৈশ্বিকভাবে পালিত হয়।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘ এবং এর সংস্থাগুলি বাংলাদেশে ত্রাণ এনেছিল। জাতিসংঘ মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশি শরণার্থীদের সহায়তা প্রদান করেছিল। ১৯৭৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সাধারণ অধিবেশনে বাংলা ভাষায় একটি ভাষণ দিয়েছিলেন।

এদিকে জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। বুধবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকাস্থ জাতিসংঘ মিশন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বাণী উল্লেখ করা হয়।

বাণীতে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, 'জাতিসংঘ দিবস ৭৪ বছর আগে আজকের এই দিনে কার্যকর হওয়া সনদের স্থায়ী আদর্শ তুলে ধরে। ঝড়ো বৈশ্বিক সাগরের মাঝে জাতিসংঘ সনদটি আমাদের নৈতিক নোঙর হিসেবে রয়ে গেছে। দ্রুত পরিবর্তনের এই যুগে জাতিসংঘ মানুষের প্রকৃত সমস্যাগুলোর ওপর দৃষ্টি নিবন্ধ রেখেছে। আমরা সুষ্ঠু বিশ্বায়ন এবং সাহসী জলবায়ু কার্যক্রমের জন্য কাজ করছি।'

তিনি বলেন, 'আমরা মানবাধিকার ও লিঙ্গ-সমতার ওপর জোর দিচ্ছি এবং সব ধরনের ঘৃণাকে না বলছি। আমরা শান্তি বজায় রাখতে সংগ্রাম করছি। সশস্ত্র সংঘাতের কবলে থাকা লাখ লাখ মানুষের জীবনরক্ষায় সাহায্য করছি।'

বাণীতে তিনি বলেন, 'দেশসমূহে সমর্থন বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জাতিসংঘ নিজেই আরও অধিক কর্মতৎপর ও জবাবদিহিমূলক হয়ে উঠছে। আগামী বছর প্রতিষ্ঠানটির ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। এই মাইলফলক এক সঙ্গে আমাদের ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রণয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। আমি আপনাদের আলোচনায় যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আসুন, আমরা একত্রে জনগণের মঙ্গল ত্বরান্বিত করি।'