• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

বিএনপিতে শুরু হলো মামলার নাটক

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৯  

বিএনপির আকাশে কালো মেঘ দিন দিন আরো কালো হচ্ছে। দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় না থাকায় মৌসুমী নেতাদের পদত্যাগ বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে দলীয় কোন্দল। ক্ষমতায় থাকাকালীন নিজেদের দুর্নীতি আর অপকর্ম ঢাকতে নিজেদের মাঝে শুরু হয়েছে কোন্দল।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বিএনপির দুই নেতা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে মামলাটি করেন।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সীমানা ও গঠনতন্ত্র মানা হয়নি উল্লেখ করে ওই মামলা করা হয়। মামলায় বিবাদী করা হয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকে।

মামলার বাদী গুলজার হোসেন খান জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটিতে অল্প কয়েকজন স্থান পেলেও মহানগরের কমিটিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১ থেকে ১০ নং ওয়ার্ড পর্যন্ত ১০টি ওয়ার্ডের কোনো নেতাই পদ পদবি পাননি। এই ১০টি ওয়ার্ডের মূল দলের নেতাকর্মীরা দলীয় পদ পদবির ক্ষেত্রে অবহেলার শিকার হচ্ছেন। দলের জন্য প্রাণপণে কাজ করলেও দলের নেতারা তাদের কোনো ধরণের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে না। আমাদেরকে পদ পদবি যেন দেয়া হয় সেজন্যই এ মামলা। আমরা তো জাগদল থেকেই যুক্ত বিএনপির সঙ্গে।

এদিকে বিবাদীদের পক্ষে বিএনপি নেতা আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, গঠনতন্ত্র মতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ মামলায় প্রমাণ করে শাখাওয়াত সরকার দলের এজেন্ট। আদালত তাদের মামলায় ১৯ নভেম্বর জবাব দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

আমির খসরু মাহমুদ কিছুদিন আগেই বলেছেন "ব্যারিস্টার মওদুদ সাহেবরাওতো বিএনপি ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে গিয়েছিলেন, তাতে কি হয়েছে? দল আরো শক্তিশালী হয়ে ক্ষমতায় এসেছে, বিএনপি একটা বটগাছ। কে আসলো আর কে গেলো তাতে কিছু আসে যায় না। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ যদি মনে করেন তার পক্ষে রাজনীতি করা সম্ভব নয়, তিনি পদত্যাগ করতেই পারেন।"

তার এমন প্রতিক্রিয়ায় দলে অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তারেক রহমান দেশে না থেকে স্কাইপি ও মোবাইলে দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের সাথে খারাপ আচরণ করে যাচ্ছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।  সেই সাথে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে মামলা এবং ব্যারিস্টার মওদুদ সাহেবের মত সিনিয়র নেতাদের নিয়ে তারেকের মন্তব্য দলকে আরো বেশি প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিএনপির সিলেট জেলার এবং কেন্দীয় কয়েকজন নেতাও দল ত্যাগের জন্য লিখিত আবেদন করেছেন।