• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

যে আমলে মিলবে ভালো চাকরি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০১৯  

চাকরি বা কাজ পাওয়া সব সময়ই কঠিন। মান-সম্মত চাকরি বা কাজ পাওয়াতো আরো বেশি কঠিন। তা পেতে অনেক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়। আর বর্তমান সময়ে চাকরি তো এক দুঃস্বপ্নের নাম।

ভালো চাকরি বা কাজের সন্ধান পেতে যোগ্যতা অর্জনের পাশাপাশি কোরআনি তথা ইসলামী কিছু আমলও রয়েছে। এজন্য রয়েছে একটি দোয়া ও তাসবিহ।

কী সেই আমল

‘রাব্বি ইন্নি লিমা আনযালতা ইলাইয়্যা মিন খাইরিন ফাক্বির।’

অর্থ : হে আমার প্রতিপালক, তুমি আমার প্রতি যে কল্যাণ নাজিল করবে, নিশ্চয় আমি তার মুখাপেক্ষী। (সূরা কাসাস : আয়াত ২৪)

তাসবিহ

ভালো চাকরির নিয়তে দিনে যতবার খুশি মহান আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নামের আমল করা এবং বেশি বেশি পাঠ করা।

‘ইয়া ওয়াহহাবু’

অর্থ : কোনোরূপ প্রতিদান ব্যতিত অধিক দানকারী।

হজরত শাহ আবদুল আজিজ (রহ.) বলেন, যে ব্যক্তি রিজিকের প্রশস্ততার জন্য (ভালো কাজ বা চাকরির প্রত্যাশায়) চাশতের নামাজের সময় ১২ রাকাত নামাজ পড়ে সিজদায় গিয়ে ‘ইয়া ওয়াহহাবু’ পবিত্র গুণবাচক নামের জিকির ১০০ বার অথবা ৫০ বার পাঠ করে। তবে অবশ্যই তার রিজিকের অভাব থাকবে না।

দোয়ার উৎস

কোরআনুল কারিমে হজরত মুসা (আ.) এর একটি আকুতি ও আল্লাহর কাছে আশ্রয় লাভ এবং কাজ অনুসন্ধানের আহ্বান উঠে এসেছে। কোরআনে সে ঘটনাটি এভাবে এসেছে-

হজরত মুসা (আ.) ফেরাউনের ঘর থেকে বেরিয়ে আসার পর তার কোথাও যাওয়ার, আশ্রয়ের কিংবা জীবিকার কোনো সংস্থান ছিল না, সে সময় তিনি ফেরাউনের ঘর থেকে বেরিয়ে অনেক দূরে চলে যান।

মহান রাব্বুল আল্লাহ তায়ালা বলেন-‘যখন সে মাদইয়ানের কুপের কাছে পৌঁছল। সেখানে দেখলো একদল লোক তাদের পশুগুলোকে পানি পান করাচ্ছে এবং তাদের পেছনে দুজন নারী তাদের পশুগুলোকে আগলে আছে। মুসা (আ.) বললেন, তোমাদের কী হলো? (দাঁড়িয়ে আছ কেন?) ওরা (নারী) বলল, রাখালরা ওদের পশুগুলোকে নিয়ে সরে না গেলে আমরা আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করাতে পারি না। আর আমাদের পিতা অতি বৃদ্ধ মানুষ।’ (সূরা কাসাস : আয়াত ২৩)

এর পরের আয়াতেই হজরত মুসার (আ.) কাজ চেয়ে আল্লাহর মুখাপেক্ষী হওয়ার আবেদন এসেছে। আল্লাহ তায়ালা হজরত মুসার (আ.) সে আহ্বান এভাবে তুলে ধরেন-

‘মুসা (আ.) তখন ওদের (দুই নারীর) পশুগুলোকে পানি পান করালো। তারপর সে ছায়ার নীচে আশ্রয় গ্রহণ করে বলল-

‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার জন্য যে কল্যাণ অবতীর্ণ করবে, নিশ্চয় আমি তার মুখাপেক্ষী।’ অর্থাৎ আমার কাজ বা চাকরি দরকার, তুমি আমার জন্য যে কাজ বা জীবিকার ব্যবস্থা করবে। আমি তোমার ব্যবস্থা করা সে কাজের বা জীবিকার মুখাপেক্ষী।