• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

যে তিন ভুলে নষ্ট হতে পারে কিডনি!

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০২০  

কিডনি আমাদের দেহের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আমাদের দেহে বিপাকক্রিয়ায় জমা বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ শরীরে জমে। যা কিডনির মাধ্যমেই শরীর থেকে বের হয়ে যায়। যদি কিডনি অকার্যকর হয়ে যায়, তবে শরীরের ক্ষতিকর বর্জ্য রক্তে জমা হয়। তখন বেঁচে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়ে।

কিডনি চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল। ফলে অনেকের পক্ষেই এর চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না। আমাদের প্রতিদিনের তিন ভুলেই কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের ছোট ছোট কিছু অনিয়মের জন্য কিডনির সমস্যা দেখা যায়। যা আমৃত্যু বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়। তাই কিডনি সুস্থ রাখার দিকে নজর দিতে হবে নিজেকেই। চলুন জেনে নেয়া যাক এমন তিনটি ভুল, যা থেকে হতে পারে কিডনির রোগ- 

ঠিকমতো পানি না খাওয়া

কিডনির সুরক্ষার জন্য সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিয়ম করে পানি খাওয়া। আমরা অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করি না। বাড়ি থেকে বাইরে বের হলে অনেকের পানি পানের কথা মনে থাকে না। তবে এতে কিডনির ওপর অনেক বেশি পরিমাণে চাপ পড়ে এবং কিডনি তার সাধারণ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে ৬ থেকে ৮ গ্লাস জল পান করা অত্যন্ত জরুরি।

অতিরিক্ত লবণ খাওয়া

অনেকের বাড়তি লবণ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। খেতে বসে প্লেটে আলাদা করে লবণ নিয়ে খান। এই অনিয়মটির কারণে কিডনির অনেক বেশি ক্ষতি হয়। কারণ কিডনি অতিরিক্ত সোডিয়াম আমাদের দেহ থেকে নিষ্কাশন করতে পারে না। ফলে বাড়তি লবণের সোডিয়ামটুকু কিডনিতে থেকে যায়। এতে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং নষ্ট হবার সম্ভাবনাও থাকে।

মদ পান

মদপান কিডনির জন্য সব চাইতে বেশি ক্ষতিকর। অ্যালকোহল কিডনি আমাদের দেহ থেকে সঠিক নিয়মে নিষ্কাশন করতে পারে না। ফলে এটি কিডনির মধ্যে থেকেই কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এমনকি কিডনি নষ্ট করে দেয়। অতিরিক্ত মদপানের কারণে লিভার সিরোসিসের মতো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হন অনেকে। এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি।