• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাতের খাবারে যত দেরি, তত বিপদ

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৮  

রাতের খাবার তো রাতেই খাবেন, এর মধ্যে আবার 'কখন' কেন, তাই না? আসুন, দেখা যাক এখানে 'কিন্তু' ওঠে কেন। দেরি করে ঘুমোন? ডিনারও লেট নাইটে? ভুল করছেন। যত দেরি করে খাবেন, তত বিপদ।

 

1.রাতের খাবারে যত দেরি, তত বিপদ!

রাতে দেরি করে ঘুমোতে যাওয়ার অভ্যাস হয়েছে, আর তাই রাতের খাবারের সময়সীমাও পিছুতে হচ্ছে। জানেন নিজের অজান্তেই কত বড় বিপদ ডাকছেন? গবেষণা বলছে, যারা ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে নৈশভোজ সারেন তারা ব্রেস্ট ও প্রস্টেট ক্যানসারের ছোবল থেকে নিরাপদেই থাকেন।

গ্রামাঞ্চলে আগেভাগেই রাত নামে। তাই বাসিন্দাদের রাতের খাবার পর্ব সম্পন্ন হয় প্রায় নয়টার মধ্যেই। তাই গ্রামবাসীর মধ্যে এখনও থাবা বসাতে পারেনি প্রস্টেট ক্যানসার ও ব্রেস্ট ক্যানসারের মতো মারণ রোগ।

এমনিতেই কর্কট রোগ গোটা বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের আবহ তৈরি করে রেখেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত চিকিৎসা সহায়তা দিয়েও কর্কট রোগের ছোবল থেকে রোগীকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না।

রোগের শুরুতে ধরা পড়লেও চিকিৎসকদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অনেকে। ভাগ্যবানরা লড়াই করে নতুন জীবন ফিরে পান। তবে সেই সব ভাগ্যবানদের সংখ্যাটাও উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

তাই ক্যানসার রুখতে রোগের প্রবনতাকেই রুখে দিতে চাইছেন চিকিৎসকরা। গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিদিন প্রস্টেট ক্যানসার ও ব্রেস্ট ক্যানসারের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে।

এই ভয়াবহতা রুখতেই নারী ও পুরুষের ওপরে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেই সমীক্ষা রিপোর্টেই দেখা গিয়েছে ৮৭২ জন পুরুষের মধ্যে ৬২১ জন প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত। একইভাবে ১,৩২১ জন মহিলার মধ্যে ১.২০৫ জন মহিলা ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত।

আক্রান্ত পুরুষ-মহিলার দৈনন্দিন খাদ্যাভাসের মূল্যায়ন করে দেখা গিয়েছে, তাদের বেশির ভাগের খাবার সময়ের কোনো সামঞ্জস্য নেই। নৈশভোজের সময় আসতে আসতে প্রায় মধ্যরাত হয়ে যায়। অনেকে কর্পোরেট সেক্টর ও বেসরকারি সংস্থায় কাজ করার জন্য রাতের শিফটে অফিসে থাকেন। তারা সাধারণত রাত করেই খাওয়া-দাওয়া সারেন।

কিন্তু রাত নয়টার আগে যারা খেয়ে নেন তারাই এক্ষেত্রে নিারপদ জোনে রয়েছেন। বাকিদের ওপর থেকে কিন্তু কর্কট রোগের ভ্রুকুটি এখনই যাচ্ছে না। তাই রাতে যতক্ষণই কাজ করুন না কেন নয়টার আগে নৈশাভোজ সারার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।