• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

শীতে কাপঁছে কুড়িগ্রামের মানুষ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২০  

শীতে কাপঁছে কুড়িগ্রামের জনপদ। ঘন কুয়াশা আর হিমেল ঠান্ডা হাওয়ায় বিপর্যস্থ অবস্থা জেলার কর্মজীবী মানুষের।   মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। 
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল ঠান্ডা হাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী ও ছিন্নমুল মানুষ। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বিশেষ কাজ ছাড়া সকালে বাইরে বের হচ্ছে না অনেকেই।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক ড. মোস্তাফিজার রহমান প্রধান জানান, চলতি বছর  জেলায় ৫ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে বীজতলা লাগানোর টার্গেট নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয় ৫ হাজার ৯৯৪ হেক্টর জমিতে। এছাড়াও আলুর টার্গেট ছিল ৫ হাজার ৬৮৮ হেক্টর জমিতে এখন পর্যন্ত অর্জন হয়েছে ৬ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে। টানা শীতের কারণে কিছু কিছু এলাকায় বোরো ও আলু ক্ষেতের কিছুটা ক্ষতি হলেও দিনে রোদের কারণে ক্ষতিটা পুষিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়াও সার্বক্ষণিকভাবে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেনালের হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: পুলক কুমার সরকার জানান, প্রচন্ড শীতের প্রকোপে শীতজনিত রোগে প্রতিদিন হাসপাতালগুলোতে ভীর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরমধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। ডায়রিয়া ও নিউমেনিয়ায় প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আরো কয়েকদিন আবহাওয়া এমন থাকবে। মঙ্গলবার কুড়িগ্রামে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকড করা হয় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। 
জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা দীলিপ কুমার সাহা জানান, শীতকে মোকাবেলা করার জন্য ইতিমধ্যে ৬৩ হাজার ১৪ পিচ কম্বল উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি শিশুদের জন্য ৩ লক্ষ টাকার শীতের পোষাক কেনা হয়েছে। এছাড়াও শিশু খাদ্যের জন্য ১ লক্ষ টাকা ও কম্বল কেনার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। মজুদ আছে ২ হাজার শুকনো খাবার।