• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

সৈয়দপুরে কুকুরের কামড়ে ছয়জন জখম

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ মার্চ ২০২১  

নীলফামারীর সৈয়দপুরে কুকুরের কামড়ে ছয়জন গুরুতরভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন না থাকায় তাদের নীলফামারী জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তারা সেখান থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে বাড়ি ফিরলেও দুই শিশুর আঘাত গুরুতর হওয়ায় তারা ভোগান্তিতে পড়েছে।

কুকুরের কামড়ে আক্রান্তরা হলেন- শহরের সাহেবপাড়া রেলওয়ে হাসপাতালের পেছনের এলাকার কামালের দুই ছেলে ইসমাইল (৭) ও ইব্রাহিম (১২), মিস্ত্রিপাড়ার মুন্নার স্ত্রী শাবানা (৩০), মনির হোসেনের ছেলে রাজমিস্ত্রি রবিউল ইসলাম (৪০), মোস্তাফিজুর (৬৬) এবং একটি ছয় বছরের শিশু।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে কামালের ছেলে ইসমাইল বাড়ির পাশে রাস্তায় খেলার সময় হঠাৎ করে পেছন থেকে একটি কুকুর এসে প্যান্টের উপর দিয়েই নিতম্বে কামড়ে ধরে। এসময় বড় ভাই ইব্রাহিম তাকে উদ্ধার করতে গেলে তার পায়েও কামড় দেয় কুকুরটি। পরে দুই ভাইয়ের চিৎকারে পাশের পাপ্পু টেইলার্সে বসা লোকজনসহ পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে এলে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

এদিকে দুপুর ২টার দিকে শহরের মিস্ত্রিপাড়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় দোকান থেকে বাসায় ফেরার পথে একটি কুকুর হঠাৎ পায়ে কামড়ে দেয় মুন্নার স্ত্রী শাবানাকে। এসময় এলাকার আরও তিনজনকে কামড় দেয় কুকুরটি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন পৌরসভার ১৩, ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রুবিনা সাকিল।

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ওমেদুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কুকুরের কামড়ে আক্রান্তদের হাসপাতালে আসামাত্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করে দ্রুত ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা সেখানে যথাযথভাবে ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং এখন সুস্থ আছেন। সৈয়দপুরে সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় এবং সব সময় প্রয়োজন না হওয়ায় জেলা সিভিল সার্জনের অধীনে ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা হচ্ছে।