• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেলে প্রস্তুত ২৮ টি আইসিইউ শয্যা        

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২০  

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে সংযোজন করা হলো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)। ১৮ শয্যার এই আইসিইউতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ করা নতুন ভেন্টিলেটর স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এই হাসপাতালে পুরোনো ১০ টিসহ ২৮ শয্যার আইসিইউ ওয়ার্ড প্রস্তুত হলো।

সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির কারণে নতুন আরও ২০টি ভেন্টিলেটর সরবরাহ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই ২০টি ভেন্টিলেটরের দুটি পুরোনো আইসিইউ ওয়ার্ডে এবং বাকি ১৮টি ভেন্টিলেটর করোনা ইউনিটে স্থাপন করা হয়। গত শুক্রবার এই ১৮টি ভেন্টিলেটর ও শয্যা স্থাপনের কাজ শেষ হয়।

স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সংকটাপন্ন রোগীদের ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখার জন্য আইসিইউ প্রয়োজন হয়। তবে বিভাগে দুটি মেডিকেল কলেজসহ জেলা-উপজেলা মিলিয়ে ৪৬টি সরকারি হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৫৫৮টি আইসোলেশন (পৃথক রাখার) শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে বিভাগের মধ্যে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই শুধু আইসিইউর সুবিধা আছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৩ জুলাই শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পূর্ব দিকের নতুন দ্বিতল ভবনের নিচতলায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চালু করা হয়। ওই সময় ১০টি শয্যার জন্য ১০টি বড় আকারের ভেন্টিলেটর মেশিন, তিনটি ছোট আকারের ভেন্টিলেটর ও মনিটর সরবরাহ করা হয়। আইসিইউ ওয়ার্ড চালু করা হলেও এখানে স্থায়ী জনবল নিয়োগ না দেওয়ায় ওয়ার্ডটি দীর্ঘদিন অব্যবহৃত সবগুলো ভেন্টিলেটরসহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে একে একে বিকল হয়ে যায়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জোড়াতালি দিয়ে আটটি ভেন্টিলেটর মেরামত করতে পারলেও দুটি পুরোপুরি অকেজো হয়ে যায়।


হাসপাতাল সূত্র জানায়, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ২০১৭ সালে আইসিইউ ওয়ার্ড চালু হলেও এত বছরেও জনবল কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) অনুমোদন হয়নি। অন্যান্য বিভাগের চিকিৎসক-নার্সদের দিয়ে এখন আইসিইউ সেবা চালু রাখা হবে। করোনা ওয়ার্ডের আইসিইউ ইউনিট পরিচালনার জন্য হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক-নার্সদের নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন চিকিৎসক ও ৩০ জন নার্স রয়েছে। প্রতি শিফটে একজন চিকিৎসক ও একজন জন নার্স এখানে দায়িত্ব পালন করবেন।

বরিশাল বিভাগে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ৯ এপ্রিল। গত শুক্রবার পর্যন্ত বিভাগের ছয় জেলায় ৮৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক-নার্সসহ ১৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে বিভাগের হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিভাগে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) শয্যা বাড়ানো হলেও তা পর্যাপ্ত নয়।

শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. বাকির হোসেন বলেন, হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের তৃতীয় তলায় এই ১৮টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের মূল ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিটের সবকিছু ঠিক করা হয়েছ। এখন মোট ২৮টি আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত রয়েছে। কোনো রোগীর সমস্যা গুরুতর হলে এগুলো ব্যবহার করা যাবে।