• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নতুন পদ্ধতিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০২০  

সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নতুন পদ্ধতিতে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনা ও সাতক্ষীরার বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হচ্ছে। সংস্কার কাজে জিও টিউব ব্যবহার করায় বেড়িবাঁধ হবে মজবুত ও টেকসই। আগামী তিন মাসের মধ্যে ১৩টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধ লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। গত ৩১ মে থেকে খুলনার কয়রা উপজেলার ছয়টি এবং সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার সাতটি পয়েন্টে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে কয়রা উপজেলার রত্নাঘেরী ও আশাশুনি উপজেলার হাজরাখালী পয়েন্টের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ১৩টি পয়েন্টে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা।

সরেজমিন রত্নাঘেরী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, শাকবাড়িয়া নদীর এক পাশে সুন্দরবন, অন্য পাশে ভেঙে যাওয়া ২০০ মিটার বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজ করছেন শ্রমিকরা। মাটি কেটে দেওয়া হচ্ছে বাঁধের পাশে, সেইসঙ্গে জিও ব্যাগে ভরে বালুও দেওয়া হচ্ছে। কিছু দূর পরপর সেনা সদস্যরা দাঁড়িয়ে থেকে কাজ তদারকি করছেন। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড, সাতক্ষীরা উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন জানান, তারা সংস্কার কাজে কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছেন। ঘূর্ণিঝড় আইলার পর বেড়িবাঁধ সংস্কারে দীর্ঘ সময় লাগে। এবার দ্রুত সংস্কার করা হচ্ছে।

স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইতোপূর্বে বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজের মান নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিত। তবে এবার কাজ মানসম্মত হওয়ায় এলাকার তারা খুশি। 

যশোর সেনানিবাসের ৩ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহীনুল ইসলাম জানান, আগে বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজে শুধু মাটি, জিও ব্যাগ বা অন্য বস্তায় ভরে বালু ও গাছের বল্লি ব্যবহার করা হতো। এবারই প্রথম বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজে বালুভর্তি জিও টিউব ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে বাঁধ টেকসই ও মজবুত হচ্ছে। জিও টিউব ১৫-২০ বছর পানির সংস্পর্শে থাকলেও নষ্ট হয় না। তিনি জানান, দুটি পয়েন্টের সব কাজ এ মাসের মধ্যে শেষ হবে। বাকি ১১টি পয়েন্টের কাজ সম্পন্ন করতে তিন মাস সময় লাগবে।