• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

অবকাঠামোর দিক থেকে বদলে যাচ্ছে উত্তর সিটির নতুন ১৮ ওয়ার্ড 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০২০  

অবকাঠামোর দিক থেকে মূল শহরের তুলনায় পিছিয়ে থাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন ১৮টি ওয়ার্ড হবে রাজধানীর অন্যতম আধুনিক এলাকা। এসব এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নে এরই মধ্যে চার হাজার ২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাস হয়েছে। এতে থাকবে রাস্তাঘাট, খাল উন্নয়ন, হাঁটার রাস্তা, বাইসাইকেল লেন। দেশে প্রথমবারের মতো ইউটিলিটি ডাক্ট নির্মাণ করা হবে প্রকল্পটির আওতায়।

রাজউকের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা এবং অন্যান্য সেবা সংস্থার মাস্টারপ্ল্যানের সঙ্গে সমন্বয় করে বাস্তবায়ন করা হবে প্রকল্পটি।

জানা গেছে, ‘ডিএনসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের অবকাঠামো উন্নয়ন’ নামে প্রকল্পটির আওতায় প্রায় ৩৩ কিলোমিটার চার লেনের সড়ক নির্মাণ করা হবে। দুই লেনের সড়ক নির্মাণ করা হবে প্রায় ৪১ কিলোমিটার। ১৮টি ওয়ার্ডে মোট ২৯.২৮ কিলোমিটার খাল উন্নয়ন করা হবে। কংক্রিটে বাঁধাই খালের দুই পারে থাকবে ৫৮.৫৯ কিলোমিটার দৃষ্টিনন্দন হাঁটার রাস্তা ও বাইসাইকেল লেন। এ ছাড়া থাকবে সবুজায়নের জন্য আলাদা জায়গা। এসব ওয়ার্ডে কোনো সেবা সংস্থার তার দৃশ্যমান থাকবে না। এসব লাইন সংযোগ দেওয়া হবে মাটির নিচে ইউটিলিটি ডাক্ট নির্মাণের মাধ্যমে। মোট ৯৭.২৮ কিলোমিটার ইউটিলিটি ডাক্ট নির্মাণ করা হবে। ওই সব এলাকার দীর্ঘদিনের অন্ধকার দূর করতে স্থাপন করা হবে স্মার্ট সড়কবাতি। সিটি করপোরেশনের কার্যালয়ে বসে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এসব বাতি।

ডিএনসিসির প্রকৌশল দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগের আটটি ইউনিয়ন বিলুপ্ত করে নতুন এই ১৮টি ওয়ার্ড যুক্ত করা হয়। প্রকল্পের আওতায় প্রয়োজনীয় উন্নয়ন সুষমভাবে করার জন্য বরাদ্দের বণ্টনও করা হয়েছে প্রায় সমানভাবে।

ডিএনসিসির উপপ্রধান প্রকৌশলী শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘দেশের প্রথম ইউটিলিটি ডাক্ট সম্পন্ন প্রকল্প এটি। এ ছাড়া সম্পূর্ণ নতুন সড়ক নির্মাণের খরচ অন্যান্য প্রকল্পের চেয়ে একটু বেশি হয়। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে পুরো এলাকার চেহারা পাল্টে  যাবে।’

ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাজউকের বিশদ উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং সেবা সংস্থাগুলোর ১০০ বছরের মাস্টারপ্ল্যানের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রকল্পটির ডিজাইন করা হয়েছে। ফলে অন্য প্রকল্প থেকে এটি ভিন্ন ধাঁচের। জনগণের টাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। প্রতিটি টাকার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে সিটি করপোরেশন বদ্ধপরিকর। নতুন ওয়ার্ডের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়ে গেলে সেখানে বসবাসরতদের জীবনমানের অভূতপূর্ব উন্নতি হবে। এ ক্ষেত্রে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য নিয়ে সংবাদ করতে আমি সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানাই।’