• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

ঠাকুরগাঁওয়ে বদলে যাচ্ছে সড়কের চিত্র

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২০  

ঠাকুরগাঁওয়ে সন্ধ্যা নামলেই রাতের অন্ধকারে ছেয়ে যেতো পুরো জেলা। ঘটতো ছিনতাই, মাদকসেবীদের অপরাধমূলক নানা কর্মকাণ্ড। তাদের দীর্ঘ দিনের কষ্ট অবেশেষে লাঘব হচ্ছে। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে অন্ধকার থেকে আলোর মুখ দেখবে জেলাবাসী। 

ডিসেম্বরের মধ্যেই জেলার পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড হতে ঠাকুরগাঁও রোড বালিয়াডাঙ্গীর মোড় পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কে ২৬০টি এলইডি বাল্ব বসানোর কাজ শেষ হবে। এরইমধ্যে ৪০ ভাগ  পিলার বসানোর  কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনের এমপি রমেশ চন্দ্র সেন।  

ঠাকুরগাঁও সড়ক ও জনপদের অর্থায়নে কাজটি বাস্তবায়ন করছে এনবিই নামে একটি প্রতিষ্ঠান। প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫০ ওয়ার্ডে আধুনিক ২৬০টি বাল্ব বসানো হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের মুন্সির হাট এলাকার বাসিন্দা জিতেন চন্দ্র পাল জানান, লাইটগুলো লাগানো হলে পুরো শহর আলোকিত হবে, যা আমাদের অনেক দিনের দাবি ছিল। ছিনতাইকারী, মাদকসেবীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল এলাকাবাসী। এখন তাদের অত্যাচার থেকে রেহাই পাওয়া যাবে বলে মনে করি।

কলেজ পাড়া এলাকার রিকশাচালক আব্বাস আলী জানান, সন্ধা নামলেই রাস্তাগুলো অন্ধকার হয়ে যায়। রাতের বেলায় রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হয়। আশা করি আর সমস্যায় পড়তে হবে না।

খানকা শরিফ এলাকার জেসমিন আক্তার বলেন, এলইডি লাইট লাগানো হলে পুরো এলাকা আলোকিত হবে। আমাদের চলাচলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।

ঠাকুরগাঁও সড়ক জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী মনসুরুল আজিজ জানান, আশা করছি মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও বাসীকে একটি আলোকিত শহর উপহার দিতে পারবো। বাতিগুলো দিনের আলো শেষে রাতের অন্ধকার নামার সঙ্গে সঙ্গেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলে উঠবে। তবে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বাতিগুলো চাইলেই বন্ধ করা যাবে। বাতি নিয়ন্ত্রণে অত্যাধুনিক পাওয়ার লাইট কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। রাতে প্রয়োজন অনুপাতে আলো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। প্রতিদিন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিগুলো জ্বলবে ও বন্ধ হবে। প্রতিটি বাতি দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডিজাইন করা হয়েছে।  

ঠাকুরগাঁও-১ আসনের এমপি রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, আমরা একটি আধুনিক ও ঝকঝকে বাসযোগ্য শহর গড়ে তোলার জন্য শেখ হাসিনার নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছি। এরই মধ্যে জেলার ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ঠাকুরগাঁও এখন একটি মডেল জেলায় পরিনত হয়েছে।