• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

বীরগঞ্জে মাছ ধরার উৎসবে মেতেছে করোনায় ঘরবন্দি শিশুরা 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২১  

আমন চাষের জমি প্রস্তুত করতে চলছে গরুর বদলে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষাবাদ। জমি চাষের সময় ট্রাক্টর লাঙ্গলের ফলায় ভেসে উঠছে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। আর এ সব মাছ ধরার উৎসবে মেতেছে করোনায় ঘরবন্দি শিশু শিক্ষার্থীরা।

কাঁদা মাটিতে শিশুদের কচি পায়ের স্পর্শে মুখরিত বিস্তীর্ণ মাঠের এই দৃশ্য দেখে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন অনেক কৃষক। মাছ ধরার উৎসবে মাতোয়ারা ওই শিশুদের বাধা দিচ্ছেন না অভিভাবকরাও। 

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা জুড়ে এখন এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ তাই প্রতিদিন মাঠে দল বেধে মাছ ধরতে যায় বলে জানাই ওইসব শিশুরা।

শনিবার বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর ইউনিপর কোমরপুর ইউনিয়নের কোমরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র রাকেশ রায় জানায়, স্কুল বন্ধ তাই জমিতে চাষ দেওয়ার সময় ট্রাক্টরের শব্দে দল বেধে মাঠে ছুটে যাই। জমিতে নেমে মাছ কুড়াতে পারে এ নিয়ে চলে আমাদের মাঝে প্রতিযোগীতা। প্রতিদিন সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত আনুমানিক প্রায় এক কেজি বিভিন্ন জাতের মাছ নিয়ে বাড়ি আনা যায়।

একই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র কমলা কান্ত রায় জানায়, করোনা কারণে দূরে কোথায় যেতে পারি না। তাই বাড়ির পাশে জমিতে বন্ধুদের সাথে মাছ ধরতে যাই। মাছ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে অনেকে আমাদের কাছে মাছ কিনে নিতে চায়। কিন্তু আমরা বাড়ির জন্য মাছ ধরি। মাছ ধরে বাড়িতে নিয়ে আসায় বাজার থেকে আর কিনতে হয় না।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবক দশরথ রায় বাবুল জানান, বর্ষাকালে কাঁদা মাটিতে মাছ ধরার উৎসবে মেতেছে গ্রামীণ জনপদের মানুষ। এটি আমাদের আহবমান বাংলার সংস্কৃতি। কিন্তু করোনার কারণে এ দৃশ্য খুব একটা চোখে পড়ে না। বিশেষ করে শিশুরা এসব উৎসব থেকে বঞ্চিত। করোনায় দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিশুরা ঘরবন্দি। তবে এই মাছ ধরার উৎসব তাদের বন্দি জীবনে কিছুটা আনন্দের সঞ্চার করেছে। এসব উৎসব শিশুদের মানসিক প্রশান্তির খোড়াক জোগাবে। অন্যদিকে তাদের মনের অস্থিরতা কমবে।