• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি উত্তরাঞ্চলের মানুষের 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১  

তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন, রংপুর বিভাগের বৈষম্য রোধ, তিস্তা চুক্তি সই করাসহ ছয় দফা দাবিতে ১৫ নভেম্বর সোমবার লংমার্চ এবং লালটুপি সমাবেশ ঘোষণা করেছে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ।

শুক্রবার বিকেলে রংপুর লালকুঠি স্কুল এন্ড কলেজে মিলনায়তনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির সভা থেকে সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সভায় আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর রবিবার নদী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এছাড়া সভায় সিদ্ধান্ত হয় বাংলাদেশ অংশে রংপুর বিভাগের ৫ জেলা নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার দৈর্ঘ্য ১১৫ কিলোমিটার। এই ১১৫ কিলোমিটারের দুইপাড়ে ২৩০ কিলোমিটার এলাকায় লংমার্চ কর্মসূচী সফল করতে দেড় মাসব্যাপী তিস্তা পাড়ের ভাঙন কবলিত গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলায় কমিটি গঠন, নানামুখী গণসংযোগ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। 

তিস্তা নদীর প্রবেশ মুখ নীলফামরী জেলার ডিমলা উপজেলার কালিগঞ্জ পয়েন্ট এবং সুন্দরগঞ্জের দুইতীর অঞ্চল থেকে লংমার্চ যাত্রা শুরু করবে। তিস্তার দুই তীরের জনপদ থেকে লংমার্চ মিলিত হবে রংপুর, লালমনিরহাট এবং কুড়িগ্রাম জেলার সংযোগ স্থল তিস্তা রেলব্রীজের চরাঞ্চলের মাঠে। এখানেই দুপুর তিনটায় শুরু হবে সমাবেশ। সমাবেশে রংপুর বিভাগের ৫ মন্ত্রী, ২২ জন সাংসদ, সকল ইউনিয়ন প্রতিনিধি সহ জাতীয় পর্যায়ের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। 
সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান, স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ড. তুহিন ওয়াদুদ, শফিকুল ইসলাম কানু, ছাদেকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, মাহামুদ আলম, সহকারী অধ্যাপক নুরুজ্জামান খাঁন, বখতিয়ার হোসেন শিশির আমিন বিএসসি, মাহিদুল ইসলাম সহ তিস্তার দুই তীরের ভাঙ্গন কবলিত এলাকার প্রতিনিধিবৃন্দ।

অন্যান্য দাবিগুলো হলো, তিস্তা নদী সুরক্ষায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন, তিস্তা চুক্তি সই, জলাধার নির্মাণ, তিস্তার ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদর ক্ষতিপূরণ, পূনর্বাসন, তিস্তা নদীর শাখা, প্রশাখা ও উপনদীগুলোর সাথে নদী পূর্বেকার সংযোগ স্থাপন, অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদ, নৌ চলাচল ব্যবস্থা চালু, তিস্তা তীরবর্তী কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষায় কৃষক সমবায় এবং কৃষি ভিত্তিক শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলা।