• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

ঠাকুরগাঁওয়ে ওঁরাও সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী কারাম উৎসব উদযাপন       

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১  

ঠাকুরগাঁওয়ে নাচে-গানে উদযাপন করা হলো ওঁরাও সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী কারাম উৎসবের। পূজা-অর্চনা শেষে বাড়ির উঠানে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী নাচ-গানে মেতে ওঠেন এই সম্প্রদায়ের কিশোর-কিশোরী ও যুবক-যুবতীরা।

গত শুক্রবার রাতে (১৭ সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলার সালন্দর এলাকায় কারাম উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসব উপভোগ করতে জড়ো হন আশপাশের গ্রামের সাধারণ মানুষও। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে উৎসব উদযাপনে অংশ নেন সবাই।
জানা যায়, ভাদ্র মাসে উদযাপন করা হয় ওঁরাও সম্প্রদায়ের অন্যতম বার্ষিক উৎসব কারাম। এটি একটি একটি বৃক্ষ পূজার উৎসব।

রানদাজা ওঁরাও নামে স্থানীয় একজন জানান এই উৎসব পালনের রীতিনীতি। তিনি জানান, উপোসের মধ্য দিয়ে কারাম পূজা শুরু করেন ওঁড়াও নর-নারীরা। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্থ পর্যন্ত উপোস থাকেন তারা। সন্ধ্যার পরে মাদল, ঢোল, করতাল ও ঝুমকির বাজনার তালে তালে নেচে-গেয়ে কারাম গাছের (খিল কদম) ডাল তুলে আনা হয়।

এরপর তারা একটি পূজার বেদি নির্মাণ করেন। সূর্যের আলো পশ্চিমে হেলে গেলে সেই কারামগাছের ডালটি পূজার বেদিতে রোপণ করা হয়। উৎসবের আলোকে ধর্মীয় কাহিনি শোনান পুরোহিত। সেই সঙ্গে চলে কাহিনির অন্তর্নিহিত ব্যাখ্যা। ব্যাখ্যা শেষ হলে বেদির চারধারে ঘুরে ঘুরে নাচতে থাকেন যুবক-যুবতীরা।

তিনি আরও জানান, পুরোহিতের ধর্মীয় কাহিনি পাঠ শেষ হওয়ার পর ওঁরাও সম্প্রদায়ের নারীরা পরস্পরকে খাবারের আমন্ত্রণ জানিয়ে উপোস ভেঙে ফেলেন। এর পরই বিভিন্ন বাড়ি থেকে পাওয়া চাল, ডাল ও টাকা দিয়ে খাওয়ার আয়োজন করা হয় আমন্ত্রিত অতিথি ও আত্মীয় স্বজনদের জন্য। সবশেষে স্থানীয় নদীতে কারামের ডালটি বিসর্জন দেওয়া হয়। আর এর মধ্যে দিয়েই শেষ হয় উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।

জাতীয় আদীবাসী পরিষদের উপদেষ্টা অ্যাড. ইমরান হোসেন জানান, সরকারি সহায়তা ও উপযুক্ত পরিবেশের ব্যবস্থা থাকলে এই ঐতিহ্যবাহী কারাম উৎসবটি ধরে রাখা সম্ভব হবে। এই উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশের আগামী প্রজন্মের কাছে ওঁরাও সম্প্রদায়কে উপস্থাপন করতে চান তিনি।