• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

পঞ্চগড়ে অপহরণের পর উদ্ধার, আসামি গ্রেফতার

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২২  

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় অপহরণ মামলার ভিকটিম ১৫ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করছে পুলিশ। এ ঘটনার সাথে স্পৃক্ত থাকা আসামীয় রিপন ইসলামকে (২২) গ্রেফতার কর হয়েছে।

বুধবার (২২ জুন) আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত ৭ জুন ওই স্কুল ছাত্রী নিখোজ হলে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রিপন ইসলাম (২২) নামে এক যুবককে প্রধান আসামী করে ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে মামলা দায়ের করেছে।

আটক অপহরণ মামলার প্রধান আসামী রিপন জেলার বোদা উপজেলার বড়শসীর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের জামাল উদ্দীনের ছেলে। একই মামলার অপর আসামী রিপনের বাবা জামাল উদ্দীন (৪০), রিপনের মা জেসমিন আক্তার (৩৫) ও রিপনের ছোট ভাই রিদয় ইসলাম (২০)।

গত মঙ্গলবার (২১ জুন) রিপনকে ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বুধবার (২২ জুন) সকালে পঞ্চগড়ে আনার পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী অপহরণ মামলার ভিকটিম ও আসামীকে গ্রেফতারে বিষয়টি  নিশ্চিত করে বলেন, মামলা দায়েরর পর থেকে আমাদের অভিযান অব্যাহত ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি আসামী ভিকটিমকে নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছে। সেই সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার আশুলিয়া থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার পূর্বক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে যাওয়া আসার মাঝে রিপন ভিকটিম স্কুল ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছিলো। প্রেমের প্রস্তাব প্রতিবারই প্রত্যাক্ষান করতো ওই স্কুল ছাত্রী। এক পর্যায়ে এ বিষয়ে ওই স্কুল ছাত্রী তার বাবাকে জানান। পরে বাবা ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি অবহিত করেও কোন প্রতিকার পাননি। এদিকে গত মঙ্গলবার (৭ জুন) সকালে ভিকটিম বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে পরীক্ষা দিতে যায়। এক সময় পথিমধ্যে রিপনদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় রিপন ছোট ভাই রিদয়ের সহায়তায় তাকে অপহরণ করে পালিয়ে যায়। মেয়ে বাড়িতে ফিরে না আসায় ও স্কুলের সহপাঠীদের মাধ্যে জানতে পারে সে সকাল থেকে স্কুলে যায় নি।

 পরে ভিকটিমের বাবা রিপনের বাড়িতে গিয়ে খোজাখুজি করলে বাড়ির সদস্যরা বিয়ের জন্য অপহরণ করেছে বলে মর্মে জানান। এরপর ভিকটিমের বাবা বিভিন্ন দিকে মেয়েকে খোজাখুজি করে না পেয়ে গত শনিবার (১১ জুন) বোদা থানায় গিয়ে রিপনকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে মামলা দায়ের করে। যাহার মামলা নং- ১১।