• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

গাইবান্ধায় অন্তঃসত্ত্বা নারী-নবজাতকের সেবায় ‘মমতার তরী’

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২২  

গাইবান্ধায় অন্তঃসত্ত্বা নারী, প্রসূতি মা ও নবজাতকের সেবায় ব্রহ্মপুত্র নদে চালু করা হয়েছে ‘মমতার তরী’ নামে ইঞ্জিনচালিত বিশেষ নৌ অ্যাম্বুলেন্স। এটি মা ও নবজাতকের সেবায় ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন কাজ করবে।

সেভ দ্য চিলড্রেন, এসকেএস ফাউন্ডেশন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের বালাসীঘাটে মমতার তরীর উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান।

নৌ অ্যাম্বুলেন্সটিতে বিদ্যুৎ, জরুরি ওষুধ, শয্যা, বেসিক লাইফ সাপোর্ট, টয়লেট, খাবার পানির ব্যবস্থাসহ জরুরি ও নিরাপদ স্থানান্তর সুবিধা রয়েছে। বন্যাকবলিত জনপদের অন্তঃসত্ত্বা নারী ও নবজাতকের সুরক্ষায় সার্বক্ষণিক সেবাদানই এটির উদ্দেশ্য।

কোইকা বাংলাদেশ এবং সেভ দ্য চিলড্রেন কোরিয়ার সহায়তায় মমতা প্রকল্পের আওতায় রাতদিন ২৪ ঘণ্টা নৌপথ পারাপারের সেবা নিয়ে ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া, এরেন্ডাবাড়ি ও সাঘাটার হলদিয়া ইউনিয়নের অন্তঃসত্ত্বা নারী, প্রসূতি মা এবং নবজাতকের মৃত্যু রোধে বিশেষ এই নৌকা চালু করা হয়েছে। এতে তিন ইউনিয়নের দুর্গম চরের মা ও শিশুর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু কমে আসবে।

জেলার সাতটি উপজেলা ও ৮২টি ইউনিয়নে নয়টি সরকারি এবং প্রায় ২০টি বেসরকারি হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও উপযুক্ত ব্যবস্থা সম্বলিত নৌযানের অভাবে জলবেষ্টিত এই বিশাল জনপদে নৌপথে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাসেবা নেওয়া সবার পক্ষে সম্ভব হতো না। জেলার পূর্বাংশ দিয়ে বিভিন্ন নদ-নদী প্রবাহের কারণে বন্যার সময় মাতৃস্বাস্থ্য ও নিরাপদ প্রসব অনেক কঠিন ছিল। এখন থেকে অন্তঃসত্ত্বা মা ও নবজাতককে চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠাতে ব্যবহৃত হবে এই নৌযান। উদ্বোধনের প্রথম দিন থেকেই মমতার তরী সেবা দেওয়া শুরু করেছে।

এ উপলক্ষে ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের বালাসীঘাটে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের পরিচালক গুনো ভ্যান ম্যানেন বলেন, বন্যা ও নদীভাঙনে সৃষ্ট দুর্গমতায় অন্তঃসত্ত্বা মা ও নবজাতকদের জরুরি এবং তাৎক্ষণিক নিরাপদ ও সেবাদান কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর জলবায়ু পরিবর্তন ও ভৌগোলিক কারণে এই অঞ্চলসহ নদীবেষ্টিত বিভিন্ন এলাকা বন্যার ঝুঁকিতে থাকে। আমি মনে করি, এই পরিস্থিতিতে মানুষের কাছে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে মমতার তরী ভূমিকা রাখবে।

জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান বলেন, অন্যান্য অধিকারের মতোই স্বাস্থ্যও মানুষের মৌলিক অধিকার। যোগাযোগ প্রতিবন্ধকতার কারণে চরের লোকজন উন্নত স্বাস্থ্যসেবা থেকে পিছিয়ে। চরের প্রান্তিক মানুষের বিশেষ করে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবায় এই নৌকা বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এটি একটি সুন্দর এবং এলাকা উপযোগী উদ্যোগ। আমি এমন উদ্যোগে তাদের সাধুবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতে এভাবে সরকারের সঙ্গে সমন্বিত প্রচেষ্টা যেন অব্যাহত থাকে সেই আশা করছি।