• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আসন্ন ঈদের বাজারে আসছে গাইবান্ধার ‘কালিয়া তুফান’

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২২  

গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের আনছার আলীর বাড়িতে এখন উৎসবের আমেজ চলছে। নানা জায়গা থেকে লোক ছুটে আসছে তার বাড়িতে। বিশাল আকারের এক গরু পালন করছেন তিনি। তার নাম দিয়েছেন ‘কালিয়া তুফান’। সেই তুফান আসছে আসন্ন ঈদুল আজহার কোরবানি পশুর হাট-বাজারে। আনছার আলীর বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের খামার বোয়ালির খেয়াখাট বাজারে।

আনছার আলী জানান, তার খামারে ৭টি গরু রয়েছে। ষাঁড় ‘কালিয়া তুফান’কে লালন পালন করতে তার দৈনিক খরচ হয় প্রায় ১০০০ টাকা। খামারের পাশে তার ছোট একটি দোকান রয়েছে। এই দোকানের আয়ে তিনি খামার পরিচালনা করেন। তিনি আরও বলেন, গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় গরু পালন করা খুব কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। তার মতো অনেক খামারি খরচ চালাতে না পেড়ে তাদের খামাার বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি সরকারের কাছে সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণের দাবি করেন।

‘কালিয়া তুফান’ ষাঁড়টির উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি, লম্বা ৮ ফুট ২ ইঞ্চি। কালিয়া তুফানের ওজন হবে আনুমানিক ৮শ’ কেজি বা ২০ মণ। তিনি ষাঁড়টির দাম হাঁকছেন ৬ লাখ টাকা।আনছার আলী আরও বলেন, ঢাকায় নিয়ে যেতে পারলে কালিয়া তুফানকে আরও বেশি দামে বিক্রি করা যেত। এখন  বাড়ি থেকেই নায্য দামে ষাঁড়টি বিক্রির আশা করছেন তিনি।

এ ব্যাপারে প্রাণি সম্পদ অফিসার ডা. মাছুদার রহমান বলেন, কালিয়া তুফানকে স্বাভাবিক খাবার খায়ানো হয়েছে। এমন কোন উপাদান খাওয়ানো হয়নি যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। আমরা খামারিদের সকল ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার চেষ্টা করছি। গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাড়ির আশপাশে জমির আইলে উন্নত জাতের খাস রোপন করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছি। খামারিরা যাতে গো-খাদ্যের চাহিতা মেটাতে পারে সে ব্যাপারে তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, সরকারি হিসেবে জেলায়, গরুর দুগ্ধ খামার ১০হাজার ৭শত ৩০টি, মোটাতাজাকরণ খামার ১০হাজার ৬শত ৫০টি এবং ছাগল ও ভেড়ার ৫হাজার ৪শত ১৬টি খামার রয়েছে।