• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

দিনাজপুরে বিরোধের জেরে হত্যা করা হয় রিকশাচালক রতনকে 

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০১৯  

জমি জমা ও পাওনা টাকা নিয়ে আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে চলে আসা বিরোধের জেরেই রতন মিয়া (২০) নামের এক রিকশাচালককে গলাকেটে হত্যা করা হয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী চার ব্যক্তি এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত মিলন হোসেনকে (২৭) শুক্রবার (২১ জুন) গ্রেফতার করেছে। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার (২২ জুন) বিকালে হাকিমপুর সার্কেল কার্যালয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আখিউল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

এদিকে রিমান্ড শেষে মামলার অপর আসামি আসাদুল ইসলাম (৩২) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গ্রেফতার মিলন ও আসাদুলের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার সুলতানপুর কেশরগাড়ী গ্রামে।

আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামি আসাদুল হক হাকিমপুর (হিলি) সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ এএসপি আখিউল ইসলাম জানান, রতন ঢাকায় রিকশা চালাতো। তার পরিবারের সঙ্গে বহুদিন ধরে প্রতিবেশী মিলন, শহিদুল ইসলাম ও এনামুল এবং চাচাতো ভাই আসাদুলদের জমি ও পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়। এরই জের ধ রে আসামিরা রতনকে নানারকম হুমকি দিয়ে আসছিল। এরপর তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে মিলন। এতে অপর তিন জন সম্মতি দেয়।

এএসপি আরও জানান, গত ২৭ মার্চ রতন ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। পরদিন তিনি নিজের জমিতে কাজ করতে গেলে শহিদুল পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রতনকে অনুসরণ করতে থাকে। সন্ধ্যার দিকে রতন নিজ বাড়ির দিকে আসার সময় গোবিন্দপুর সিংগিবাড়ি চরের কাছে মিলন গাছের ডাল দিয়ে রতনের মাথায় আঘাত করে। এরপর চারজনে মিলে মারধর করে ও গলা কেটে রতনের মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে তারা লাশটি পাটক্ষেতে লুকিয়ে রাখে। দুদিন পর এ লাশ উদ্ধার হয়।

পরে ৩ এপ্রিল রতনের মা রশিদা বেগম বাদী হয়ে দিনাজপুর আদালতে এনামুল, শহিদুল এবং আসাদুলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।