• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ডিসেম্বরেই চালু হচ্ছে বেক্সিমকোর সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২২  

ডিসেম্বরেই চালু হচ্ছে বেক্সিমকোর সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র                   
দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ এগিয়ে চলেছে দ্রুতগতিতে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ৯০ শতাংশেরও বেশি কাজ। এখন শুধু উৎপাদন শুরুর অপেক্ষা। চলতি মাসেই দেড় হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে উৎপাদন শুরুর আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

২০১৭ সালে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা চরের ৭০০ একর জমিতে দেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরু করে বেক্সিমকোর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান তিস্তা সোলার লিমিটেড। এখানে বসানো হয়েছে পাঁচ লাখ ২০ হাজার সোলার প্যানেল। ১৬টি কনভার্টার স্টেশনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে ৩৫ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন বসানোর কাজও শেষ হয়েছে।

তিস্তা চরের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বৃহত্তর রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলে বিদ্যুৎ ঘাটতিতে আশার আলো দেখাচ্ছে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তিস্তা সোলার লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার নাহিদ হাসান বলেন, এরই মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে। প্ল্যান্ট পরিচালনার জন্য ইলেকট্রিক্যাল কাজও শেষ হয়েছে। চলতি মাসের যেকোনো দিন এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের রংপুরের সভাপতি খন্দকার ফকরুল আনাম বলেন, এ অঞ্চল থেকে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হলে সবচেয়ে উপকার হবে আমাদের। মুক্তি মিলবে লো-ভোল্টেজের যন্ত্রণা থেকেও। এতদিন স্থানীয় পর্যায়ে বিদ্যুতের উৎপাদন কেন্দ্র না থাকায় এ অঞ্চলে ন্যাশনাল গ্রিডের স্লোথ প্রবাহে পর্যাপ্ত তরঙ্গ ছিল না।

রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি রেজাউল করীম মিলন বলেন, ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ন্যাশনাল গ্রিডে যুক্ত হলে এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ নির্ভর শিল্প ইউনিটে উৎপাদনশীলতা বাড়বে। ফিরবে গতি। বছরের পর বছর ধরে এ অঞ্চলের শিল্প লো-ভোল্টেজের কারণে দারুণভাবে ভুগছিল।

মিলন বলেন, তিস্তা নদীকে ঘিরে আমাদের এ অঞ্চলে আরো অনেক সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন হতে পারে। ১১৫ কিলোমিটার নদীর দুই ধারে এমন অসংখ্য চর রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের প্রেক্ষাপটে সৌরবিদ্যুৎ হতে পারে ভরসা। জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ও পরিশোধিত তেলের ওপর চাপ বাড়ায় বিশ্বব্যাপী সংকট শুরু হয়েছে। তাই উন্নত দেশে এখন সৌরবিদ্যুতের কথা ভাবছে। কোনো কোনো দেশ আগে থেকেই এ পথে হাঁটছে।

তিস্তা সোলার কর্তৃপক্ষ জানায়, এখানে বছরে ৩৫০ গিগাওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে এ পরিমাণ উৎপাদনে পোড়াতে হতো ১৩২ কোটি লিটার তেল। আগামী ২০ বছর এখান থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে ১৫ সেন্ট রেটে বিদ্যুৎ দেবে তিস্তা সোলার লিমিটেড।