• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

দিনাজপুরে জেঁকে বসছে শীত, বাড়ছে শীতজনিত রোগ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০২২  

ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে উত্তরের সীমান্ত জেলা দিনাজপুরে জেঁকে বসছে শীত। ক্রমান্বয়ে কমছে তাপমাত্র। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত বেশি অনুভত হচ্ছে শীত। বাড়ছে শীতজনিত রোগ।

এতে নাজেহাল শিশুসহ বয়স্করা। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর-সর্দিসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। দিনাজপুরের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালে দায়িত্বরত নার্স ও চিকিৎসক।

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দিনাজপুর জেলায় আগামী সপ্তাহে দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে। তাপমাত্রা নেমে আসতে পারে ৮ থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গোপসাগরে একটি লঘু নিম্নচাপ ঘূর্ণি ঝড়ে রূপ নিতে পারে। এতে কমতে পারে তাপমাত্রা।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার জেলার সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অন্যদিকে জেলায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে,শিশুসহ বয়স্করা। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর-সর্দিসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।

জেলার হাসপাতালগুলোর চিকিৎসক ও নার্সরা জানিয়েছেন, শীতজনিত রোগের কারণে ১ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী বেশির ভাগ শিশুই এখন জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়ারিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত।

বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি শয্যায় শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। শয্যা না পেয়ে মেঝেতে বিছানা পেতে রাখা হয়েছে অনেক শিশুকে। রোগীর চাপে নার্স ও চিকিৎসকরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।

হাসপাতালের শিশু বিভাগে কর্মরত স্টাফ নার্স শিউলি আক্তার জানান,এবার কোল্ড ডায়রিয়ায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন কম বেশি ৪০-৫০টি শিশু নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে।

তিন মাস বয়সী শিশু একটি শিশু নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন মোমেনা খাতুন নামে এক নারী। কাহারোল উপজেলা থেকে আসা এই নারী জানান, তার নাতির কয়েক দিন ধরে সর্দি-কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। হঠাৎ অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার বিকালে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। শীতের কারণে নিউমোনিয়া হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান।

দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকাল অফিসার ডা. সোহেল রানা জানান, বহির্বিভাগে প্রতিদিন শতাধিক শিশুকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডে ২০ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ জন। বৃহস্পতিবার শিশু রোগীর সংখ্যা ছিল ৫৩ জন।

উত্তরের ঐতিহ্যবাহী দিনাজপুর অরবিন্দ শিশু হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক শামীম কবির জানান, তাদের হাসপাতালে ক্রমাগত বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।

সিভিল সার্জন ডা. বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী জানান, এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার ১৩টি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শীতজনিত রোগে তিন শতাধিক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।