• মঙ্গলবার   ২১ মার্চ ২০২৩ ||

  • চৈত্র ৬ ১৪২৯

  • || ২৬ শা'বান ১৪৪৪

সর্বশেষ:
জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে আর ক্ষমতায় আসতে দেবে না: প্রধানমন্ত্রী তথ্য-প্রযুক্তি ও যোগাযোগ খাতে বাংলাদেশে বিপ্লব ঘটেছে: স্পিকার বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে কখনো আপস নয়-পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ১১০০ রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া চলছে: পররাষ্ট্র সচিব ভারতকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

তেঁতুলিয়ায় ভাতিজাকে খুন করতে ১০ হাজার টাকায় লোক ভাড়া করেন চাচা!

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩  

তেঁতুলিয়ায় ভাতিজাকে খুন করতে ১০ হাজার টাকায় লোক ভাড়া করেন চাচা!          
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ১০ হাজার টাকায় দুজন লোককে ভাড়া করে ভাতিজা কামরুল ইসলামকে হত্যা করান চাচা সাইফুল ইসলাম। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী দিদার আলী ও নজিবুল হক কামরুলকে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।

সোমবার পঞ্চগড় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা। হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিন পর রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। কামরুল ইসলাম তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের যোগীগছ গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত ২৩ জানুয়ারি নিখোঁজ হন কামরুল। তার ছোট ভাই কাবুল হোসেন ২৫ জানুয়ারি দুপুরে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরির তিন ঘণ্টার মধ্যেই তেঁতুলিয়া থানা পুলিশ কামরুলের মরদেহ উদ্ধার করে। তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ধানশুকা এলাকার করতোয়া নদীর ধারে একটি চা বাগানের নালা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

পরে ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া আলামতের সূত্র ধরে পুলিশ একই উপজেলার গরিয়াগছ গ্রামের সরদার আলীর ছেলে দিদার আলীকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে এবং তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে। পরে মূল পরিকল্পনাকারী কামরুলের চাচা সাইফুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, কামরুলের চাচা সাইফুল ইসলাম একই এলাকার সপিজদ্দীনের ছেলে নজিবুল হক ও দিদার আলীকে ১০ হাজার টাকায় ভাড়া করেন। জমি-জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে ভাতিজা কামরুলের ওপর প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। সে অনুযায়ী গত ২৩ জানুয়ারি রাতে কৌশলে কামরুলকে ডেকে এনে হত্যা করেন তিনি। তবে হত্যাকাণ্ডের জড়িত নজিবুল হক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, কামরুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২৬ জানুয়ারি নিহতের বাবা আব্দুল জব্বার বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের জনের নামে একটি হত্যা মামলা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাকিবুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি আবু সাঈদ চৌধুরী, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল লতিফসহ পুলিশের কর্মকর্তারা।