• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

ঠাকুরগাঁওয়ে ভাষা সৈনিক দবিরুলের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

 
মহান একুশে ফেব্রুয়ারি রাতে ভাষা সৈনিক মরহুম এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ দবিরুল ইসলামের স্মৃতি সৌধে তার সন্তানরা ও পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেছেন।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ঠাকুরগাঁও সাধারণ পাঠাগার চত্বরের নির্মিত ভাষা সৈনিক মরহুম এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ দবিরুল ইসলামের স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দবিরুল ইসলামের বড় ছেলে মুহাম্মদ আহসান হাবীব বুলবুল ও ছোট ছেলে আহসান উল্লাহ (ফিলিপ) সহ তার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা।

এর আগে দবিরুল ইসলামের স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসানের কর্মকর্তারা। এছাড়াও জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। 

জানা যায়, ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের এক সাহসী নাম দবিরুল ইসলাম। ৫২’র ভাষা আন্দোলনে যার ছিল সক্রিয় অংশগ্রহণ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূচনা পর্বে যে ক’জন সাহসী সূর্য সন্তান তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল দবিরুল ইসলাম ছিলেন সেই সাহসী ও স্বপ্ন সারথিদের অন্যতম একজন। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের নায্য আন্দোলন, পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন, যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন এ সবের পিছনে অসামান্য অবদান রেখেছেন তিনি। যাদের নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন সেদিন বেগবান হয়েছিল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (১৯৪৯-১৯৫৩) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন আইন বিভাগের ছাত্র, সাবেক এমএলএ, পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি (যুক্তফ্রন্ট) ও ভাষা সৈনিক মরহুম এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ দবিরুল ইসলাম তাদেরই একজন। 

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ৫২’র ভাষা আন্দোলনের সময় বর্তমান ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের বামুনিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে দিনাজপুর জেলা কারাগারে নিয়ে তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালায়।যার ফলে তিনি হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীকালে ১৯৬১ সালের ১৩ জানুয়ারিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।