স্বপ্নপুরীতে জবি শিক্ষার্থীদের মারধর, গ্রেপ্তার ৮                

 
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদন পার্ক স্বপ্নপুরীর কর্মচারীদের হামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১০ শিক্ষার্থী আহত ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রোববার (১২ মার্চ) রাতে জবির এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

আটককৃতদের মধ্যে দুইজন কিশোর। অন্যরা হলেন,  জাহেদুল ইসলাম (৪৫), প্রভাশ কিসকু (৩৬), মো. সবুজ রানা (২৯), মানিকুল ইসলাম (৩২), সালমা আক্তার (২১) ও রেজওয়ান আহম্মেদ (১৮)।

এর আগে স্বপ্নপুরীর কর্মচারীদের হামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষার্থী আহত হন। আহতরা হলেন- আরাফাত হোসেন, ওমর ফারুক, মোকসেদুল হক, জাহিদুল আলম তালহা, শাকিল আহমেদ, বিনয় কুমার, প্রান্ত, বিনজাল বসাক ও মামুনুর রহমান। এর মধ্যে আরাফাত ও প্রান্তের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, রোববার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৪ জন শিক্ষার্থী ও ৯ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী দিনাজপুরে শিক্ষাসফরে আসেন। পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএমসিএল)-সহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তারা স্বপ্নপুরী বিনোদন পার্কে যান।

শিক্ষার্থীরা যখন পার্ক থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন এক নারী শিক্ষার্থী তার ব্যাগ নিতে ভুলে যাওয়ায় আবার ফিরে যান। তখন তাকে পার্কের এক কর্মী উত্ত্যক্ত করে। শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করলে সেখানকার কর্মীরা তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে এবং ধাওয়া করে। এ সময় আরও কর্মচারী জড়ো হয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা চালায় এবং মারধর করে। তাদের হাতে রড ছিল।

তিনি আরও জানান, নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে রাত ৯টার দিকে গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থীকে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্বপ্নপুরীর মালিক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত। আমার ৪-৫ জন কর্মচারীও আহত হয়েছেন। পুলিশ এ বিষয়ে যা ব্যবস্থা নেবে মেনে নেব।