• মঙ্গলবার   ২১ মার্চ ২০২৩ ||

  • চৈত্র ৬ ১৪২৯

  • || ২৬ শা'বান ১৪৪৪

সর্বশেষ:
জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে আর ক্ষমতায় আসতে দেবে না: প্রধানমন্ত্রী তথ্য-প্রযুক্তি ও যোগাযোগ খাতে বাংলাদেশে বিপ্লব ঘটেছে: স্পিকার বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে কখনো আপস নয়-পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ১১০০ রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া চলছে: পররাষ্ট্র সচিব ভারতকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

রংপুরে ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে ঘটছে দুর্ঘটনা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২৩  

সকালে কয়েকজন শিক্ষার্থী ড্রেনের ওপর দিয়ে হেঁটে স্কুলে যাওয়ার সময় একজন ম্যানহোলে পড়ে যায়। পাশের শিক্ষার্থী টের পাওয়ায় অনেক কষ্টে ভেতর থেকে তোলা হয় তাকে। স্কুল ব্যাগসহ ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে পড়ে গিয়ে ওই শিক্ষার্থী মারাত্মক জখম হয়। সঙ্গে পরনে থাকা কাপড়ে ময়লা-আবর্জনা লেগে যায়। 

সোমবার (১৩ মার্চ) সকালে রংপুর নগরীর কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঘেঁষে সড়কের পাশে নির্মিত আরসিসি ড্রেনের ওপর দিয়ে হাঁটতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটলেও নগর কর্তৃপক্ষ নীরব। বড় কোনো দুর্ঘটনার আগেই এর সমাধান প্রয়োজন বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা।

রংপুর মহানগরীর লালবাগ থেকে পার্ক মোড় পর্যন্ত সড়কের পাশে নির্মিত আরসিসি ড্রেনের বেশ কিছু ম্যানহোলের ঢাকনা নেই। এর ওপর দিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কারমাইকেল কলেজ, কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং কারমাইকেল কলেজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থীসহ বিপুল সংখ্যক লোকজন নিয়মিত চলাচল করে। আর মাঝে মাঝেই অচমকা ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা গর্তের ফাঁদে পড়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলগুলো এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট (পার্ক মোড়) থেকে লালবাগে কারমাইকেল কলেজ গেট পর্যন্ত বেশ কিছু ম্যানহোল খোলা রয়েছে। প্রতি ১৫ ফিট পর পর ম্যানহোলের ঢাকনার ব্যবস্থা করা হলেও কিছু ঢাকনাবিহীন থাকায় পথচারীদের চলাচলে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। এই পথ দিয়ে শত শত শিক্ষার্থী হেঁটে প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ সারছে। 

স্থানীয়রা জানান, কিছু দিন আগেও বিকেলে এই খোলা ম্যানহোল দিয়ে ড্রেনে পড়েছে কারমাইকেল কলেজের এক ছাত্রী। পরে তার সহপাঠীরা সেই ম্যানহোলে নেমে তাকে উদ্ধার করেছে। তারও আগে আরও কয়েকজন পড়েছে।

লালবাগে একটি ছাত্রবাসে থাকেন চাকরিজীবী নন্দ কিশোর রায়। তিনি বলেন, ড্রেনের ঢাকনা না থাকায় আমরা যারা চলাচল করি, তাদের জন্য এটা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বাচ্চারা দিনে সাবধানতা অবলম্বন করলেও সন্ধ্যার পরও তো তারা যাতায়াত করে। ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

আরেক পথচারী বলেন, ছাত্র-ছাত্রীরা আতঙ্কে থাকে, কখন কে পড়ে যায়। মানুষের চলাচলের জন্য মারণফাঁদে পরিণত হয়েছে ড্রেনটি। যদি ঢাকনাই না দেয় তাহলে মারণফাঁদ তৈরি করার কোনো দরকার হয় না। গত সপ্তাহে হাটের দিনে একজন ম্যানহোলে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন।

কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী বাবু বলে, কলেজ থেকে বের হলেই তো হেঁটে হেঁটে যাওয়া লাগে। খুব ভয় করে। যদি পা পিছলে পড়ে যাই, সব শেষ। আমরা খুব সাবধানে আসা-যাওয়া করি।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনা ঘটে। এ যেন এক মরণফাঁদ। সোমবার সকালেও এক শিক্ষার্থী ম্যানহোলে পড়ে যায়। প্রায়ই ঘটছে এমন দুর্ঘটনা।

এ ব্যাপারে জানতে রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আজম আলীর ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

তবে প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট থেকে লালবাগ বাজার হয়ে কলেজপাড়া পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৮০০ মিটার পর্যন্ত ম্যানহোলের কাজ করা হয়েছে। সবগুলো ম্যানহোলে ঢাকনার ব্যবস্থা রয়েছে। যেসব জায়গায় ঢাকনা নেই সেগুলোর মধ্যে কিছু চুরি হয়ে গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ঢাকনাগুলো দেওয়া হবে।