ফুলবাড়ীতে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী, অবশেষে মামলা

 
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী (১২) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এই অভিযোগে ফুলবাড়ী থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা দায়ের পর থেকে ধর্ষক শফিকুল ইসলাম (২৮) গা ঢাকা দিয়েছেন। তিনি ওই শিক্ষার্থীর প্রতিবেশী সম্পর্কের চাচা হন। গত সোমবার ফুলবাড়ী পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর বাবা ও মা দিনমজুরির কাজ করেন। তারা বিভিন্ন স্থানে কাজ করে সংসার চালান। এ কারণে তারা প্রায়ই কাজের উদ্দেশে বাড়ির বাইরে থাকেন। ওই স্কুলছাত্রী লেখাপড়ার জন্যে অনেকটা একাই বাড়িতে থাকতেন।
এই সুযোগে বাড়ির পাশের সম্পর্কের চাচা শফিকুল ইসলাম (২৮) প্রায়ই স্কুলছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। সে রাজি না হওয়ায় শফিকুল তাকে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখাতেন।

গত প্রায় দেড়মাস আগে ওই স্কুলছাত্রীর মা-বাবা কাজের উদ্দেশে বাইরে গেলে শফিকুল দিনদুপুরে স্কুলছাত্রীর ঘরে ঢুকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনাটি কারো কাছে যেনো প্রকাশ না করে এ জন্য তাকে হত্যার হুমকি দেন। সেই ভয়ে সে কাউকে বিষয়টি জানায়নি।

এরমধ্যে গত ১৩ মার্চ শফিকুল আবারো ওই স্কুলছাত্রীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে আশপাশের লোকজন জানতে পেয়ে তাকে আটক করার চেষ্টা করেন। তবে তিনি কৌশলে পালিয়ে যান।

এরপর বিষয়টি স্থানীয় মানুষদের কাছে বিচার চেয়ে কোনো কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে রোববার (১৯ মার্চ) ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার ওসি ফজলুর রহমান জানান, ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণ হওয়ার অভিযোগে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ধর্ষক শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।