• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

ঠাকুরগাঁওয়ে পেঁয়াজের বীজ চাষে অধিক লাভের আশা 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২৩  

      
ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল গ্রামে নিজের ৩২ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মোয়াজ্জেম হোসেন নামে এক কৃষক। দেশি পেঁয়াজের ঘাটতি দূর করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন এই কৃষক।

তার পেঁয়াজের ক্ষেতে কাজ করে অনেকের সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা। পেঁয়াজের এই বীজ বিক্রি করে লাভবান হওয়ার প্রত্যাশা করছেন কৃষক মোয়াজ্জেম। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সারিবদ্ধ হয়ে মোয়াজ্জেমের ৩২ বিঘা পেঁয়াজের বীজ ক্ষেতে কাজ করছেন ৭০ থেকে ৮০ জন নারী-পুরুষ শ্রমিক। এদের মধ্যে কেউ ক্ষেতের পরিচর্যায় সেচ দেওয়া, কেউ পোকা দমনে কীটনাশক স্প্রে, কেউবা আলতো হাতের ছোঁয়ায় পরাগায়ন করছেন।   

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৭৯৮ হেক্টর নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৮০৬ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৬০ হেক্টর জমির ফসল কর্তন হয়েছে। এছাড়া ১১৩ হেক্টর জমিতে শুধু পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন হচ্ছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৯০০ কেজি করে মোট ১০২ মেট্রিক টন বীজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

পেঁয়াজ ক্ষেতে পরাগায়নের কাজ করতে আসা খায়রুল আলম ও আবু সায়েম বলেন, মোয়াজ্জেমের পেঁয়াজ ক্ষেতে সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পরাগায়নে প্রতিদিন ৭০-৮০ জন কাজ করি। এতে আমাদের ভালো আয় হয় এবং এই আয়ে সংসার ভালোই চলছে।

তরুণ উদ্যোক্তা কৃষক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, পেঁয়াজ রোপণের মাত্র ৪ মাসের মধ্যে গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা যায়। আর গাছে ফুল আসার পর থেকে টানা ৩০ দিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত হাতের ছোঁয়ায় পরাগায়ন করতে হয় তাহলে ভালো বীজ ও ফলন পাওয়া যায়। তিনি বলেন, জমিতে প্রায় ৩২ লাখ টাকা খরচ করেছি। এবার প্রায় ৪০ লাখ টাকার মতো আয় হবে বলে আশা করি। সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলে আরও অনেকে এগিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের বীজ উৎপাদনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অদূর ভবিষ্যতে এই মশলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন জেলায় আরও বৃদ্ধি করা হবে এবং এর সাথে মৌ-চাষকে সম্পৃক্ত করলে কৃষকরা আরও বেশি লাভবান হবে।