ছাগল পালনে বদলে যাচ্ছে চরাঞ্চলের নারীদের ভাগ্য
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২৩
ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমরসহ ছোট বড় ১৬টি নদ-নদী রয়েছে কুড়িগ্রামে। এসব নদ-নদীর অববাহিকায় থাকা প্রায় চার শতাধিক চরাঞ্চলে বসবাস করে ৫ লক্ষাধিক মানুষ। বর্তমানে কুড়িগ্রামসহ দেশের অধিকাংশ নদী নাব্যতা হারিয়ে শুকিয়ে গেছে। ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে মাছও। ফলে চরাঞ্চলের পাশাপাশি নদীর অববাহিকায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ছাগল পালন। ছাগলের দাম কম হলেও লাভ বেশি হওয়ায় ছাগল পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। ছাগল পালন করেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন চরাঞ্চলের বেশিরভাগ নারী।
তেমনি একজন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের তিস্তার চরের গৃহবধূ মাজেদা বেগম (২০)। এক সন্তানের জননী তিনি। দারিদ্র্যের কারণে স্ত্রী মাজেদাকে রেখে কাজের সন্ধানে অজ্ঞাত স্থানে চলে যান স্বামী। পরে স্বামীর সন্ধান না পেয়ে মাজেদা আশ্রয় নেন তিস্তার জোওয়ান সাতারা এলাকায় বাবার বাড়িতে।
এদিকে প্রান্তিক কৃষকের পাশাপাশি চরের মানুষের উন্নয়নে চর এলাকায় কার্যক্রম শুরু করে এমজেএসকেএস নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। সরকারের পল্লী উন্নয়ন একাডেমির অর্থায়নে পরিচালিত সংস্থাটি বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পেতেও সহায়তা করে। বেসরকারি সংস্থাটির সহায়তায় মাত্র চার বছর আগে চার হাজার টাকায় একটি ছাগল কিনেছিলেন গৃহবধূ মাজেদা। বর্তমানে তার ছাগলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২টিতে। এখন পর্যন্ত ছাগল বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকাও পেয়েছেন তিনি। তার পালন করা কিছু ছাগল বছরে তিনবার বাচ্চা প্রসব করে। প্রতিবার ২ থেকে ৪টি করে বাচ্চা দেয় এসব ছাগল।
মাজেদা বেগম বলেন, ছাগলের জন্য চর এলাকার ঘাস ছাড়া অন্য কোনো অতিরিক্ত খরচের প্রয়োজন হয় না। এমনকি এটি লাভজনকও। মাজেদার প্রতিবেশী জোসনা বেগমের ১২টি, মরিয়ম বেগমের ৯টি, রাবেয়া বেগমের ৯টি, কাশেম আলীর ৮টি, মফিজলের ৮টি ও আবুল হোসেনের ৭টি ছাগল রয়েছে।
জোসনা বেগম বলেন, আমরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বাঁশ দিয়ে তৈরি উঁচু জায়গায় ছাগল পালন করছি। আমরা সময় মতো ছাগলের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করি। উচ্চ জাতের ছাগল একবারে ৩ থেকে ৪টি বাচ্চা দেয় বলেও জানান তিনি।
একই চরের শেরিনা বেগমের স্বামী আজাদুর রহমান বলেন, প্রতি বছর আমাদের ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এর আগে বন্যার সময় শুকনো জায়গা ও খাবারের অভাবে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অন্যান্য গৃহপালিত পশুসহ বেশ কিছু ছাগল মারা যায়। কিন্তু এখন আমরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বাঁশের তৈরি মাচায় ছাগল পালন করছি। আমার এখন ৬টি ছাগল, ৮টি ভেড়া ও ৬টি গরু রয়েছে। যেকোনো সময় অর্থের প্রয়োজন হলে আমি সেগুলো বিক্রি করতে পারি।
সুইস কন্টাক্টের জেলা সমন্বয়ক ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা চরে কাজ শুরু করার পর চর এলাকার মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। চরাঞ্চলে পশু লালন-পালনের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। গৃহপালিত পশুসহ তাদের বিভিন্ন উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য তারা পাবে বলে আমরা নিশ্চিত করেছি।
কুড়িগ্রামের চর এলাকার অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র হওয়ায় সুযোগ সুবিধার অভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ অনেক কম। ফলে অনেক সময় অল্প মজুরিতে কৃষি শ্রমিক হিসেবে চরের জমিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয় তাদের।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, জেলার মানুষের দুধ ও অন্যান্য ভিটামিনের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে চরাঞ্চলের এসব গৃহপালিত পশু। এতে কোনো সন্দেহ নেই। সরকারের সকল সেবা প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে পৌঁছে দিতে আমরা বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ করছি।
তিনি বলেন, আমরা চর এলাকায় গবাদিপশু পালন, রোগ শনাক্তকরণ, পরামর্শ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকি।
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- নীলফামারীতে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
- উপজেলা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করা হবে
- পুলিশের প্রতি ১১ নির্দেশনা
- প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৬ প্রার্থী
- চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫০ ভাগ
- শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা, তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- গাজার সেই শহরে আবারও নারকীয় হামলার ঘোষণা ইসরায়েলের
- ডিমলায় জুয়া খেলার অপরাধে আটক-২
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- রাতেই যেসব অঞ্চলে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- ফারিণের ‘নিকষ’ অন্ধকার!
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ‘সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে ভূমিসেবায় দুর্নীতি প্রতিরোধ করা হবে’
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি চিহ্নিত করতে বললেন ভূমিমন্ত্রী
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- চিকিৎসা ব্যবস্থা যেকোনো মূল্যে সহজলভ্য করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- মানুষের জীবন সহনীয় করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
- জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে: শিল্প সচিব
- রোহিঙ্গা সমাধানে নিউজিল্যান্ডকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান
- তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়
- ঈদে সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে বাড়তি ফ্লাইট
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ