• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

জাতির পিতা দেশের মানুষের শান্তি রচনা করে গেছেন: আবুল কালাম আজাদ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২৩  

 
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলার অবিসংবাদিত নেতা। যার জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন একটি দেশে বাস করতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধু শান্তি চেয়েছেন, তিনি এদেশের মানুষের শান্তি রচনা করে গেছেন। জুলিও কুরি শান্তি পদক তারই প্রমাণ।

তিনি আরও বলেন, যারা দেশের মানুষের শান্তি চায় না, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন তার বাবার পথে দেশের মানুষের শান্তি ও কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন ঠিক তখনই সেই চক্রান্তকারীরা দেশের শান্তি বিনষ্ট করতে দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছ। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আগামীতে আওয়ামী লীগ আবারো সরকার গঠন করে জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাবে ইনশাআল্লাহ।  

রবিবার বিকেলে উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‌‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে সুলতানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জুলিও কুরি’র আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির শান্তি পদকটি পান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেনশিয়াল কমিটির সভায় ১৪০টি দেশের প্রায় ২০০ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই একমত হয়েছিলেন, সারা জীবনের দর্শন আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কত্বের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক প্রদান করার। সে বিবেচনায় বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর পদকপ্রাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করে। আর পরের বছর ২৩ মে এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক অনুষ্ঠানে সেই পদক বঙ্গবন্ধুকে পরিয়ে দেন পরিষদের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল রমেশচন্দ্র।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. লুৎফর রহমান বাবুল, বরকামতা ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম, গুনাইঘর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোকবল হোসেন মুকুল, ভানী ইউপি চেয়ারম্যান হাজী জালাল উদ্দিন ভূঁইয়া, সুবিল ইউপি চেয়ারম্যান, গোলাম সারওয়ার মুকুল ভূঁইয়া, রাজামেহার ইউপি চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন সরকার, ফতেহাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান কেএম কামরুজ্জামান মাসুদ, জাফরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল আলম, রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান সরকার।