• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

তিন দশক ধরে বন্ধ মোগলহাট কাস্টমস ইমিগ্রেশন

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

একসময় লালমনিরহাটে ধরলা নদী তীরবর্তী মোগলহাট বন্দর দিয়ে ভারেতর সাথে সরাসরি রেল যোগাযোগ থাকলেও ৮৮ সালের বন্যায় বন্দরের ভারত সীমান্তে অবস্থিত রেলসেতুটি ক্ষতিগ্রস্থ হলে বন্ধ হয় রেল চলাচল। ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায় বন্দরের সকল কার্যক্রম।

বন্দরটির কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় এই পথে যাতায়াতকারী ব্যবসায়ীদের প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ ঘুরে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে বেড়েছে ব্যয় ও ভোগান্তি।

যা কমাতে বন্দরের কার্যক্রম পুনরায় চালুর দাবি তোলেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পুনরায় চালুর আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি। এতে শঙ্কা তৈরি হয়েছে পুনরায় মোগলহাট বন্দরের কার্যক্রম চালু হওয়া নিয়ে।

ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, লালমনিরহাটের মোগলহাট বন্দরটিতে শুল্ক স্টেশন ও চেকপোস্ট পুনরায় চালু হলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটার পাশাপাশি বাংলাদেশের সাথে ভারত ও ভুটানের বানিজ্যের উন্নয়ন হবে।

সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের, পরিবর্তন হবে অবহেলিত লালমনিরহাটের অর্থনৈতিক চিত্র। আশরাফুল আলম নামের একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এখানে কাস্টমস ইমিগ্রেশন ছিলো। মোগলহাট দিয়ে ভারতে ট্রেনও যাতায়াত করতো।

তখন ব্যবসায়ীদের পদচারণ ছিলো এই অঞ্চলে। বর্তমানে সব বন্ধ। স্থানীয় যুবক আহসান হাবিব রাজু বলেন, শুনেছি বন্ধ থাকা পোর্টটি আবারো চালু হবে। দুইবছর আগে লালমনিরহাট শহর থেকে মোগলহাট পোর্ট এলাকার ধরলা নদী পর্যন্ত সড়কের উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। কিন্তু পোর্ট চালুর বিষয়টি এখনো আশ্বাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

লালমনিরহাট চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক আব্দুল খালেক বাবু বলেন, একসময় চালু থাকা মোগলহাট বন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ ঘুরে ভারতে যাতায়াত করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। মোগলহাট পোর্ট লালমনিরহাট শহর থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার আর মোগলহাট পোর্ট থেকে ভারতের দিনহাটা শহর ৩ কিলোমিটার।

এই পোর্টটি চালু হলে ব্যবসায়ীদের ব্যয় কমে আসবে। এছাড়া এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। সরকার দলীয় নেতৃত্ববৃন্দ ও বন্দর সংশ্লিষ্টরা একাধিকবার আশ্বাস দিয়েছে সম্ভাবনাময় এই মোগলহাট বন্দর চালু করার। এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে দ্রুতই মোগলহাট পোর্ট চালু করার দাবি এই ব্যবসায়ী নেতার।

মোগলহাট বন্দরের কার্যক্রম পুনরায় চালুর প্রসঙ্গে লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।

তবে লালমনিরহাটের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে মোগলাহাট বন্দরের সকল কার্যক্রম দ্রুত চালু করা উচিত বলে মনে করে লালমনিরহাটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেলের রাজস্ব কর্মকর্তা সুকান্ত দাস বলেন, ৮৮ সালের বন্যায় ধরলা নদীর উপর কথা রেলসেতু ক্ষতিগ্রস্ত হলে দুই দেশের যোগাযোগ ব্যাহত হয়। পরে ধীরে ধীরে কাস্টমসসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

বর্তমানে যেসকল পোর্ট চালু রয়েছে মোগলহাট পোর্ট সে তালিকায় নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এনবিআর যদি মনে করে এই পোর্টটি চালু হলে এই অঞ্চল ও দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধি হবে তাহলেই এই পোর্টটি চালু হওয়া উচিত। তবে দুই দেশের সীমান্তে নদী রয়েছে আর নদীতে ব্রীজ না থাকায় পোর্ট চালুর সম্ভবনা থেমে থাকে।