• শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১৮ ১৪৩১

  • || ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রংপুরে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা, হাসপাতালে ভর্তি ১৬৮

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

রংপুর বিভাগে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭৬ জন। বর্তমানে বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৬৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এবিএম আবু হানিফ এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামে ২০, নীলফামারীতে ১২, দিনাজপুরে ৭, গাইবান্ধায় ১১, ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ এবং রংপুরে ১৮ জনের শরীরে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত) বিভাগে আরও ২৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়।

বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনসহ জেলায় ৩৭ জন, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীনসহ জেলায় ২১, নীলফামারীতে ১৯, লালমনিরহাটে ১১, কুড়িগ্রামে ২৩, গাইবান্ধায় ৩৭, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৪ এবং পঞ্চগড় জেলায় ৬ জনসহ পুরো বিভাগে মোট ১৬৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রংপুর ও গাইবান্ধা জেলায় ৩৭ জন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, গত তিন দিনে রংপুর ও গাইবান্ধায় বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে হাসপাতালগুলোতে রোগীর খুব বেশি চাপ নেই। গত ৭২ ঘণ্টায় লালমনিরহাটে একজন, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে ৯ জন, দিনাজপুরে ১৭, লালমনিরহাটে ১৯, কুড়িগ্রামে ৩০, রংপুরে ৩৪ এবং গাইবান্ধায় ৩৫ জন শনাক্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা জনসচেতনতামূলক প্রচারণার পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ও চিকিৎসার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রংপুর বিভাগের আট জেলায় ৩ হাজার ৩৭৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুরে তিন এবং দিনাজপুরে দুজন মারা গেছেন। আর ৩ হাজার ২০১ জন রোগীকে সুস্থতার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, এখন পর্যন্ত যারা ভর্তি রয়েছে, তাদের যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড রয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।

এদিকে মশক নিধনের বিষয়ে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র মাহবুবার রহমান মঞ্জু বলেন, আমরা মহানগরকে তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত করে মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করছি। এছাড়া মানুষকে সচেতন করতে প্রচারণা চালাচ্ছি। অনেককেই সতর্ক করে নোটিশও দেওয়া হয়েছে।