• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

সর্বশেষ:
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ই আইন হিসেবে গণ্য হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী। ২৫ জুলাই পর্যন্ত এইচএসসির সব পরীক্ষা স্থগিত।

‘কুঞ্জলতা’ ফেরি, দুঃখ ঘুচবে লাখো মানুষের

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী নদী বন্দরের চিলমারী টু রৌমারী নৌপথে চলাচলের জন্য ‘কুঞ্জলতা’ নামের একটি ফেরি সংযুক্ত করা হয়েছে। ঢাকার আরিচা ঘাট থেকে আসা ‘কুঞ্জলতা’ নামের ফেরিটি চিলমারী বন্দরে সংযুক্ত করা হয়।

চিলমারী নদীবন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক মাহফুজার রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বুধবার সকাল ১০ টায় রমনা চিলমারী নদী বন্দরে ফেরি সার্ভিসটি চলাচলের জন্য উদ্বোধন করা হবে। এতে উপস্থিত থাকবেন নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপিসহ আরো অনেকে। 

তিনি আরো জানান, রৌমারী ঘাটে পারাপারে আরো একটি ফেরি থাকবে।

জানা গেছে, চিলমারী-রৌমারী নৌ-পথের দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটার। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এ পথের দৈর্ঘ্য ১৩ কিলোমিটার বা ১৪ কিলোমিটারে নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ‘কুঞ্জলতা’ নামের ফেরি সার্ভিসটি চালু হলে শুধু চিলমারী, রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলা নয়, কুড়িগ্রামের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ অনেক সহজ হবে। যাতায়াত খরচও কমে যাবে।

এদিকে চিলমারী নদী বন্দর থেকে রৌমারী নদীপথে ফেরি চালু হওয়ার খবরে রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলাসহ চিলমারী এলাকার লাখো মানুষের মাঝে উম্মাদনা দেখা দিয়েছে। এই কাঙ্খিত সেবা অপেক্ষার প্রহর গুনছে লাখো মানুষ। 

রৌমারী উপজেলার গণমাধ্যমকর্মী শফিকুল ইসলাম জানান, চিলমারী টু রৌমারী নৌপথে চলাচলের জন্য ‘কুঞ্জলতা’ নামের ফেরি সার্ভিসটি চালু হলে রৌমারী, রাজীবপুর উপজেলাবাসীর নৌকায় করে ব্রহ্মপুত্র নদ পারাপারের দীর্ঘ সময়ের দুঃখ ঘুচবে। এতে সময় ও খরচ কমবে।

তবে গণমাধ্যমকর্মী শফিকুল ইসলাম সংশয় প্রকাশ করে জানান, ফেরি পারাপারের যে পরিমাণ পানি প্রয়োজন, বর্ষা মৌসূম চলে যাওয়ায় সেই পরিমাণ পানি ব্রহ্মপুত্র নদে নেই। এতে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে।