• শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ২৫ ১৪৩১

  • || ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

নীলফামারীতে জেল সুপারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

নীলফামারী জেলা কারাগারের দুর্নীতি, নিপীড়ন ও কারাবন্দীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে জেল সুপার মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার দুপুরে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে ‘বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলন’ নীলফামারী জেলা শাখার আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আতাউর রহমান বিক্রমপুর, বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক শফিকুল ইসলাম।

এছাড়াও বিগত সময়ে নীলফামারী জেলা কারাগারে আটক জেএমবি সদস্যরা মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি নীলফামারী কারাগার থেকে বর্তমানে জামিনপ্রাপ্ত সদস্য ছাড়াও অন্য জেলার কারাবন্দিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা বিগত সরকার অন্যায়ভাবে জেএমবি মামলায় আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।

মানববন্ধনে জেল সুপারের বিরুদ্ধে নিম্নোক্ত অভিযোগগুলো তুলে ধরা হয়:

(ক) সব আসামিদেরকে হাজিরার দিনে আদালতে বিচারকের সামনে উপস্থিত না করা।

(খ) সরকার কর্তৃক প্রতিটা আসামিদের জন্য বরাদ্দকৃত খাবার না দেওয়া।

(গ) আসামিকে তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য টাকা নেয়া।

(ঘ) পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া খাবার ও আসবাবপত্র যথাযথভাবে কারাগারে না পাওয়া।

(ঙ) আসামিদের ছোট্ট ঘরের মধ্যে আবদ্ধ রাখা।

(চ) সব আসামিদেরকে পত্রিকা, টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের খবর জানতে না দেওয়া।

(ছ) সব আসামিদেরকে বিনোদনের জন্য পর্যাপ্ত খেলাধুলা করতে না দেওয়া।

(জ) আসামিদেরকে পর্যাপ্ত বইপুস্তক পড়তে না দেওয়া।

(ঝ)৷ আসামিদের সুন্দরভাবে নামাজ পড়ার ব্যবস্থাপনা না থাকা।

(ঞ) সব আসামিদেরকে পরিবারের লোকদের সঙ্গে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ফোনে কথা বলতে না দেওয়া।

(ট) সাক্ষাৎ করতে আসা পরিবারের সদস্যদের হয়রানিমূলকভাবে সারাদিন বসিয়ে রাখা।

(ঠ) আসামিদের ওকালতনামা কিংবা জামিনের কাগজ জেল গেটে যাওয়ার পরও তা আসামিদের কাছে যথা সময়ে না পৌঁছানো।

ড। জামিনের কাগজ গেটে পৌঁছার পরও আসামিদেরকে দীর্ঘসময় আটকে রাখা।

(ণ) ওকালতনামা জেলের ভেতরে গেলে এবং নিয়ে আসলে এর জন্য ঘুষ নেয়ার অভিযোগ।

(ত) আসামিদের মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ করা।