• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

বাংলাদেশ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সরকার বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে বিশেষ সুযোগ-সুবিধার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত সেবাদান আরো সহজ করা হয়েছে। 

তিনি মনে করেন, বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্ট (টিফা) স্বাক্ষরের ফলে উভয় দেশের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে টিফা স্বাক্ষর হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় অষ্ট্রেলিয়ার পক্ষে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন ও টিফায় স্বাক্ষর করেন অষ্ট্রেলিয়ার ট্রেড, ট্যুরিজম অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট মন্ত্রী ডান টিহান।

টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশ’ স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ  অস্ট্রেলিয়ায় ৮০৪ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে ৫৯৬ দশমিক ৭০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। তবে কোভিড-১৯ এর কারণে বিগত দুই বছর বাণিজ্য আশানুরূপ হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অস্ট্রেলিয়ার ট্রেড, ট্যুরিজম অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট মন্ত্রী ডান টিহান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান। তিনি অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, টিফা স্বাক্ষরের মাধ্যমে উভয় দেশের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আইসিটি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, প্লাস্টিক ও শিক্ষাসহ বেশকিছু সম্ভাবনাময় খাত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। 

টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ মুজিব জন্মশতবর্ষ উদযাপন করছে। অস্ট্রেলিয়া পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে প্রথম এবং বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশ। এজন্য বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞ। চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে কোভিড-১৯ মোকাবিলা করে যাচ্ছে সরকার।

তিনি আরো বলেন, অস্ট্রেলিয়া বিগত ২০০৩ সালে থেকে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত এবং কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করছে, এজন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। আগামী ২০২৬ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে প্রদত্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় এলডিসি গ্রুপের প্রস্তাবে সমর্থন থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন। 

অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমাই ব্রুয়ার।ভার্চুয়ালিযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ শফিউর রহমান। 

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসনসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কমকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।