• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ডকে ভূমিকা রাখার আহবান

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২১  

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র। থাইল্যান্ডের সঙ্গে সুদীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও সাংস্কৃতিক যোগসূত্র রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে থাইল্যান্ড বাংলাদেশেকে সহযোগিতা করে আসছে। এসময় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির জন্য দু’দেশের সম্পর্ক আরো জোরদারের সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

রবিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত থাই রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে থাইল্যান্ডের ৯৪তম জাতীয় দিবস ও থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদে এর জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এ বছর এলডিসি গ্রাজুয়েশনের মাইলফলক অর্জন করেছে। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশে রূপান্তর করা।

করোনা মহামারিকালীন থাই সরকারের সহায়তার কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, সমন্বিত উদ্যোগ করোনার মতো মহামারিকে পরাজিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বৈশ্বিক মহামারি মোকাবেলায় বাংলাদেশের সফলতা এশিয়ার দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ  প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ডকে ভূমিকা রাখার আহবান জানান খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা  সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে তা এ অঞ্চলের শান্তি ও প্রগতির পথে অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে।

বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য থাই সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে উন্নত রেল, সড়ক, সামুদ্রিক ও বিমান যোগাযোগ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে আরো অবদান রাখবে। এসময় তিনি দুদেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের ওপর জোর দেন এবং থাইল্যান্ডের জনগণকে জাতীয় দিবসে শুভেচ্ছা জানান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিজ মাকাওয়াদি সুমিটমোর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ দুটি রাষ্ট্রই নিজেদের জনগণের কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে বিগত পাঁচ দশক ধরে উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে আসছে। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।