• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

বাংলার মানুষের একক কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রত্যাবর্তন

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২২  

ছয় দফা ঘোষণার পর, ১৯৬৬ সালের ৮ জুন শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে গণআন্দোলন দমানোর চেষ্টা করে পাকিস্তানিরা। তবে মুজিবমন্ত্রে ততদিনে জেগে উঠেছে বাঙালির ঘুমন্ত হৃদয়। জেলে থাকা মুজিব যেনো আরো শক্তিশালী হয়ে উঠলেন। ঘরে ঘরে ছড়াতে থাকলো ছয় দফার দাবিগুলো। এরমধ্যেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার উদ্দেশ্যে ১৯৬৮ সালে 'রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য' শিরোনামে একটি মামলা দায়ের করলো জান্তারা। গোপন বিচারের মাধ্যমে শেখ মুজিবকে হত্যার এই অপচেষ্টা বুঝে গেলো জেগে ওঠা জনগণ।

ফলে শেখ মুজিবের মুক্তি দাবি এবং ছয় দফা বাস্তবায়নের জন্য যুৎপথ আন্দোলনে রাজপথ দখল করলো বাংলার ছাত্র-শ্রমিক-কৃষকসহ সর্বোস্তরের মানুষ। দেশভাগের পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের আগ পর্যন্ত, বাংলার মাটিতে এটাই ছিল সর্ববৃহৎ ও সবশ্রেণির মানুষের সমন্বিত আন্দোলন। শেখ মুজিবের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি পরিণত হলো তীব্র স্বৈচারচারবিরোধী গণআন্দোলনে।

ফলে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবসহ সব আসামিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হলো সরকার। ২৩ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লক্ষ লক্ষ জনতার হর্ষধ্বনিতে শেখ মুজিবকে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধিতে সন্মানিত করা হলো। বাংলার মানুষের একক কণ্ঠস্বরে পরিণত হলেন তিনি। পদত্যাগে বাধ্য হলো জেনারেল আইয়ুবের জান্তা সরকার। ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর, সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীর সভায় তিনি এই ভূখণ্ডকে 'বাংলাদেশ' বলে অভিহিত করেন।