• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

‘কালুরঘাটে মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ স্মৃতিস্তম্ভ করা হবে’ 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২২  

চট্টগ্রামের কালুরঘাটে মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। মঙ্গলবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

মোজাম্মেল হক বলেন, ডিসি সম্মেলনে আমাদের মন্ত্রণালয়ের দু’টি প্রস্তাব রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো- চট্টগ্রামের কালুরঘাটে মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ স্মৃতিস্তম্ভ করা হবে। অন্যটি হলো- কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথম বঙ্গবন্ধুর পক্ষে চারজন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করার স্থানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ করা হবে। চট্টগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষার্থে কিছু করতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ডিসিদের বলছি, কোথাও জায়গা পাওয়া গেলে বা দিলে একটি স্মৃতিস্তম্ভ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, আমি যখন চট্টগ্রামে গিয়েছিলাম তখন চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কাছাকাছি কাট্টতলি মৌজায় একটি জায়গা দেখান জেলা প্রশাসক। তখন আমি বলেছিলাম, কাগজপত্র পাঠিয়ে প্রস্তাব করলে সেখানে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে স্মৃতিস্তম্ভ করবো। চট্টগ্রামভিত্তিক যেসব প্রকল্প চলমান রয়েছে সেসব জেলা প্রশাসকদের অবহিত করা হয়েছে এবং তাদের সহায়তা কামনা করা হয়েছে। 

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, আমি ব্যাক্তিগতভাবে দু’টি প্রস্তাব রেখে আসছি। এরমধ্যে একটি হচ্ছে- ভূমির সাব রেজিস্ট্রি অফিস বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছে। সেটার এলোকেশন অব বিজনেস পরিবর্তন করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনলে ভালো হয়। অপর প্রস্তাবটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে করা হয়েছে। প্রস্তাবটি হলো- আমরা যেসব জিনিসপত্র কিনি তার ভ্যাট দোকানদার রাখে। কিন্তু দোকানদার ঠিকমতো সেটা জমা দেয় কিনা সে বিষয়ে আমার সন্দেহ হয়। আর জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামের দোকান থেকে যেসব পণ্য কেনা হয় সেসব পণ্যের ক্রয় রশিদ হাতে লেখা থাকে। এর ফলে রাজস্ব আদায়ে কিছু সমস্যা হয়। এজন্য সরকার যদি নিজ উদ্যোগে সব দোকানদের ইএফটি মেশিন সরবরাহ করে তবে রাজস্ব সরকারের কোষাগারে জমা হবে। এতে সরকারের আয় বৃদ্ধি হবে। যদি কোনো দোকানদারের ইএফটি মেশিন কেনার সামর্থ না থাকে তবে সরকার লোন প্রদান করতে পারে। পর্যায়ক্রমে ২০টি কিস্তি বা ধাপে তাদের কাছ থেকে মূল্য কেটে নেয়া যেতে পারে।

সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে ডিসি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, অনেক আগেই এ বিষয়ে মোটাদাগে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য তাদের কাছে তালিকা চাইলে তারা সে তালিকাও দিয়েছেন। তারপরও যদি কোনোটা বাদ পড়ে সেটা তারা দিতে পারবেন।

দিনের প্রথম অধিবেশনে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, অর্থবিভাগ, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।