• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৬ লাখ শিশুর পাশে ইউনিসেফ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২২  

বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৬ লাখ শিশুসহ ৪০ লাখ মানুষের জরুরি ভিত্তিতে সহায়তার প্রয়োজন। শিশুদের সুরক্ষা এবং জরুরি পানি ও স্বাস্থ্য উপকরণ প্রদানে  ইউনিসেফ মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। পাশাপাশি জরুরি সরবরাহ ও সেবা প্রদানে ২৫ কোটি ডলার সহায়তার আহ্বান জানাচ্ছে ইউনিসেফ।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মিঃ শেলডন ইয়েট বলেন, “শিশুদের এই মুহূর্তে নিরাপদ খাবার পানি প্রয়োজন। পানিবাহিত মারাত্মক রোগ গুরুতর সমস্যাগুলোর অন্যতম।“

ইউনিসেফ ইতোমধ্যেই ৪ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাঠিয়েছে, যা দিয়ে ৮০ হাজার পরিবারের এক সপ্তাহ চলবে। লাখ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ১০ হাজারের বেশি পানির পাত্র এবং নারী ও কিশোরীদের জন্য হাজার হাজার স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণসহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের জরুরি কার্যক্রমে আরও সহায়তা প্রদানেও ইউনিসেফ কাজ করছে। জেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর জন্য জরুরি ওষুধও কিনছে ইউনিসেফ।

সিলেট বিভাগে ৯০ শতাংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্র জলমগ্ন হয়ে পড়েছে, যেখানে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। শিশুরা পানিতে ডুবে যাওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে, যা ইতোমধ্যেই দেশে শিশু মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।

৩৬ হাজারের বেশি শিশু তাদের পরিবারের সঙ্গে জনাকীর্ণ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে, যা শিশুদের পড়াশোনাকে আরও বিঘ্নিত করছে, যা ১৮ মাস স্কুল বন্ধ থাকায় ইতোমধ্যে ক্ষতির শিকার হয়েছে।পানি কমার আগে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মিঃ শেলডন ইয়েট বলেন, “আটকে পড়া লাখ লাখ মানুষের জন্য আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে শিশুরাই সবচেয়ে বেশী ঝুঁকিতে আছে। শিশুদের জরুরি প্রয়োজনগুলো মেটাতে ইউনিসেফ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং অংশীদারদের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”

জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় শিশু ও পরিবারগুলোকে জীবনরক্ষাকারী উপকরণ ও সেবা প্রদানে ২৫ কোটি ডলারের আহ্বান জানাচ্ছে ইউনিসেফ।