রাত পোহালেই স্বপ্ন ছোঁয়ার মাহেন্দ্রক্ষণ
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২২

একটা সেতু। একটা স্বপ্ন; আর সেই স্বপ্নের নাম পদ্মাসেতু। তবে এখন আর সেটি স্বপ্ন নয়, বাস্তব। এ স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছিল প্রায় দুই যুগ আগে। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর এর নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর ৮ বছরের মাথায় স্বপ্ন সত্যি হল। এবার অপেক্ষার পালা শেষ, এগিয়ে চলার পালা শুরু। দেশের ২১ জেলার মানুষ গুণছেন সেই নবযুগের মহেন্দ্রক্ষণ।
আগামীকাল (শনিবার, ২৫ জুন) উদ্বোধন হবে স্বপ্নজয়ের পদ্মাসেতুর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে দুই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেতুর উদ্বোধন করবেন। গাড়ি চলাচলের জন্য সেতু উন্মুক্ত হবে রোববার ভোর ৬টায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে পদ্মার দুই পাড়ে এখন সাজ সাজ রব। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া, শরীয়তপুরের জাজিরা ও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা এলাকা ব্যানার-ফেস্টুনে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সড়কের দুই পাশে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলো নিয়ন আলোয় আলোকিত হয়েছে। এসব এলাকার মানুষের মধ্যেও এক রকম উৎসবের আমেজ বয়ে যাচ্ছে। তারা গর্বিত তাদের এলাকায় দেশের টাকায় নির্মিত সবচেয়ে বড় অবকাঠামো নির্মাণ হওয়ায়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পদ্মাসেতুর উদ্বোধন করবেন, এ জন্য দুই পাড়ে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বলা যায়, পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে। এনএসআই, এসবি, ডিবি, র্যাব-পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সদা তৎপর রয়েছেন।
পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে ঢেলে সাজানো হয়েছে ওই এলাকাকে। মাওয়া প্রান্তে ঢাকা থেকে যাওয়ার পথে বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু থেকেই রাস্তার দুই ধার সাজানো হয়েছে। বড় বড় ব্যানার ও সাইনবোর্ড শোভা পাচ্ছে। আর ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়ের একেবারে শুরু থেকে মাওয়া ঘাট পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে ওয়াল এবং আশপাশের বড় বড় বেশ কিছু ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
এদিকে মাওয়া প্রান্তে পদ্মাসেতুর একেবারে গোড়ায় স্থাপন করা হয়েছে একটি বড় মঞ্চ ও প্যান্ডেল। পুরো প্যান্ডেলটি ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। র্যাবের মহাপরিচালক সভাস্থলটিও পরিদর্শন করেছেন।
জাজিরা প্রান্তে মূল জনসভাস্থলটিকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। এখানে মূল যে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে সেটি করা হয়েছে পদ্মাসেতুর স্প্যানের আদলে। শনিবার এ মঞ্চে দাঁড়িয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তৃতা দেবেন। আশা করা হচ্ছে, এখানে দশ লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম ঘটবে। এ বিশাল সংখ্যক মানুষের আগমন উপলক্ষে পুরো সভাস্থল প্রস্তুত করা হয়েছে। সভাস্থলে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে মানুষকে বসতে দেওয়া হবে। এজন্য বাঁশ দিয়ে আলাদা করে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।
পদ্মাসেতুর (মূল সেতু) দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। দুই প্রান্তের উড়ালপথ (ভায়াডাক্ট) ৩ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে সেতুর দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার। পদ্মাসেতু প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। পদ্মাসেতু প্রকল্পের টাকায় সেতুতে রেল চলাচলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখনও রেললাইন বসানো শুরু হয়নি।
দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলাকে সারাদেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে স্বপ্নের পদ্মাসেতু। এ সেতুর মাধ্যমে মোংলা বন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে রাজধানী এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। চলাচল সহজ করার পাশাপাশি অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে পদ্মাসেতু।
সমীক্ষা অনুযায়ী, পদ্মাসেতু প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ হারে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধি পাবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ।
২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মাসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেতুর কাজ কয়েক বছর এগোয়নি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসার পর থেমে থাকা পদ্মাসেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০১২ সালে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি বাতিল করে। ২০১৩ সালের ৪ মে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর মূল সেতুর নির্মাণ ও নদী শাসন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে বসানো হয় প্রথম স্প্যান। ২০০৭ সালে একনেকে পাস হওয়া পদ্মাসেতু প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। ২০১১ সালে ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে দ্বিতীয় দফা সংশোধনের পর ব্যয় দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। বর্তমানে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।
- কক্সবাজারে পর্যটক হয়রানি ঠেকাতে কঠোর হচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ
- ৩ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৫ লাখ কর্মী নেবে মালয়েশিয়া
- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ১৮টি অ্যারাবিয়ান ঘোড়া উপহার দিল কাতার
- আগামী সপ্তাহ থেকে কার্যকর হচ্ছে বাংলাদেশ-ভুটান শুল্কমুক্ত বাণিজ্য
- স্বেচ্ছায় রক্তদানের চর্চা ছড়িয়ে দিতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
- ৯৯৯-এ ফোন করে ৫ বছরে ৯ কোটি মানুষ সেবা গ্রহণ করেছে: পলক
- বঙ্গবন্ধুকে সম্মানসূচক মরণোত্তর ডি-লিট ডিগ্রি দেবে ঢাবি
- বিএনপির কর্মকাণ্ডে খালেদা জিয়ার অসন্তোষ
- ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে অজ্ঞাত যুবক নিহত
- দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারো মনোনয়ন বাণিজ্যে তারেক
- আবহাওয়া পরিবর্তনে জ্বর ঘরে ঘরে, কোন জ্বরের কী উপসর্গ?
- আটোয়ারীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: আদালতে দুই আসামির স্বীকারোক্তি
- কাউনিয়ায় চালককে নদীতে ফেলে অটোরিকশা ছিনতাই
- হাকিমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষ সেবা সপ্তাহ চালু
- দুই বছর পর ঠাকুরগাঁওয়ে ১০ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলার আয়োজন
- রংপুরে বাল্যবিয়ে ও নারী নির্যাতন বন্ধে শপথ নিলেন ২৫০ রিকশাচালক
- নির্বাচন হতে না দেওয়ার আস্ফালন করে লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
- নিষ্প্রাণ ত্বকে প্রাণ ফেরাবে নারকেলের দুধ
- জনবিচ্ছিন্নদের ৭ দলীয় জোট রাজনীতিতে গুরুত্বহীন: তথ্যমন্ত্রী
- জ্বালানি নিরাপত্তা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার অবদান
- কম খরচে মাছের ভাসমান খাদ্য তৈরির যন্ত্র উদ্ভাবন শেকৃবি গবেষকের
- ব্রাজিলের ২০২২ বিশ্বকাপের জার্সি প্রকাশ
- সেন্সর পেলো পরীমনি অভিনীত সিনেমা
- ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে সরব আরব আমিরাতের রাজকুমারী
- আশুরার শিক্ষা করণীয় ও বর্জনীয়
- ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হবে টঙ্গী-জয়দেবপুর দ্বিতীয় রেল লাইন
- বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা: বিআরটিএ চেয়ারম্যান
- নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারে জরিপ চলছে: প্রধানমন্ত্রী
- কুড়িগ্রামে পাটের মণ ৩ হাজার, কৃষকের মুখে হাসি
- দিনাজপুরে হাসপাতালের আবাসিক কক্ষ থেকে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার
- `শেখ হাসিনা-মোদির মাধ্যমে আবারও মুজিব-ইন্দিরা যুগ ফিরে এসেছে`
- হাকিমপুরে গোপনে মেয়েকে বাল্যবিয়ে বিয়ে দেওয়ায় কারাগারে মা ও ভাই
- ২০২১ সালে আওয়ামী লীগের আয় ২১ কোটি ২৩ লাখ টাকা
- ঘরে গণতন্ত্রের চর্চা না থাকাই জ্ঞানার্জনে বড় বাধা: ডা. দীপু মনি
- আমিরাত থেকে আসছে ৩ লাখ ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার
- নির্বাচনের সময় সরকারের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবে ইসি: সিইসি
- ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কাজ চলছে কক্সবাজারে
- ঠাকুরগাঁওয়ে ভুয়া কাবিনে সংসার, প্রতিবন্ধীর টাকা নিয়ে উধাও স্বামী
- বাবার ইচ্ছে পূরণে এতিমদের জন্য মাদরাসা বানালেন তরুণ উদ্যোক্তা
- রেমিট্যান্স অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে: অর্থমন্ত্রী
- মুজিববর্ষে আরো ২৬ হাজারের বেশি পরিবার ঘর পাচ্ছে
- রাজনৈতিক দৈন্যতায় নিঃশেষ হচ্ছে বিএনপি
- বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এলে চা খাওয়াবো: আ`লীগ সভাপতি
- এবারে ইলিশের আকার ও উৎপাদন দুটিই বেড়েছে
- ঈদ উপলক্ষে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর পঞ্চগড়ের বিনোদনকেন্দ্র
- জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কুশীলব: তথ্যমন্ত্রী
- কাউনিয়ায় গ্রাম্য সালিসে গলায় জুতার মালা পরানোর অভিযোগ
- বাংলাদেশে হতে পারে এশিয়া কাপ!
- নীলফামারী জেলা কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন
- বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১৯ নির্দেশনা