• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

৩ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৫ লাখ কর্মী নেবে মালয়েশিয়া

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২২  

৩ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৫ লাখ কর্মী নেবে মালয়েশিয়া                     
অবশেষে চার বছরের নিষেধাজ্ঞার অবসান হয়ে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় নতুন শ্রমিক নিয়োগ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশ থেকে ৫৩ জন কর্মী নিয়ে এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইট কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারোয়ার বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে তাদের স্বাগত জানান।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত আরো বলা হয়েছে, এই সময় হাইকমিশনের শ্রম উইংয়ের মিনিস্টার নাজমুস সাদাত সেলিমসহ মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ও দুই দেশের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মালয়েশিস্থ জিমাত জায়া নামের একটি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে ওই কর্মীরা নিয়োগ লাভ করেছেন। মালয়েশিয়ার সরকারের নতুন বেতন কাঠোমো অনুযায়ী তারা প্রতিমাসে অন্তত ১৫০০ মালয়েশিয়ান রিংগিত অর্থাৎ বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৩৭ হাজার টাকা বেতন পাবেন। তাছাড়াও তারা মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ওভার টাইম, বিনামূল্যে বাসস্থান, স্বাস্থ্য বীমা, কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত বীমাসহ অন্য সকল সুবিধা প্রাপ্য হবেন। প্রবাসীরা নিয়মিত ওভারটাইম করলে প্রতিমাসে মূল বেতনসহ ৬০ হাজার টাকারও বেশি আয় করতে পারবেন।

দীর্ঘ চার বছরের অচলায়তন ভেঙে মালয়েশিয়ার নতুন করে বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগ শুরু হওয়াতে হাইকমিশনার গোলাম সারোয়ারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং বাংলাদেশে ও মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আশা করা যাচ্ছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের পাঁচ লক্ষাধিক নতুন কর্মসংস্থান হবে এবং এর মাধ্যমে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে পাঠানো মোট রেমিট্যান্স তিন বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে।