• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

‘বিশ্বের বর্তমান সংকট পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ অবস্থা হবে’ 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২২  

‘বিশ্বের বর্তমান সংকট পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ অবস্থা হবে’           
বিশ্বের বর্তমান সংকট পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ অবস্থা হবে বলে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, প্রত্যেকে নিজের গ্রামের বাড়ি এবং যে যেখানে বসবাস করে এবং হোস্টেল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমিতে ব্যাপক হারে গাছ লাগাতে ও ফসল উৎপাদন করতে হবে। কারণ বিশ্বে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ অবস্থা হবে। কোনো পয়সা দিয়েও খাবার কেনা যাবে না। সেক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের খাবার নিজেদেরই উৎপাদন করতে হবে। আমাদের ছাত্রলীগ যেমন ধান কাটায় সাহায্য করেছে, দরকার হলে তা রোপণেও সাহায্য করবে। জমিতে কোনো একটা ফলের গাছও লাগাতে হবে। কাজেই এভাবে সবাইকে চলতে হবে। আমরা নিজেরা যদি করতে পারি, তাহলে আমাদের- যেটা জাতির পিতা বলেছেন আমার মাটি আছে মানুষ আছে, কাজেই সেটা আমরা করতে পারবো। সে বিশ্বাস আমার আছে।

বুধবার (৩১ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সন্মলেন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক স্মরণ সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন সংগঠন শক্তিশালী করার জন্য। আজকালের ছাত্রনেতারা এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে পারে। আজকে আমরা দেখি অনেকেই দল ছেড়ে দেয় মন্ত্রিত্ব করার জন্য।

ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে সরকারপ্রধান বলেন, রাজনীতি করতে হলে ইতিহাস জানতে হবে। ইতিহাসই তোমাদের পথ দেখাবে।

দেশ গঠনে ছাত্রলীগ সব সময় ভূমিকা রেখেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে, প্রয়োজনে ধান লাগিয়ে দিবে। রাজনীতি করতে হলে মানুষের পাশে থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশ ও স্বাধীনতার জন্য আমার বাবার যে সংগ্রাম, সেই সংগ্রামের সারথি ছিলেন আমার মা। সব সময় আমার মা বাবাকে সাহস জুগিয়েছেন। বাবাও মায়ের সঙ্গে অনেক কথা বলতেন। স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম মা-ই সবার আগে জানতেন।

ময়ের কথা স্মরণ করে তিনি আরও বলেন, মা তার শৈশব থেকেই বাবার পাশে ছিলেন। তখন থেকেই তিনি বাবাকে সহযোগিতা করে এসেছেন। বাবা বারবার কারাগারে যেতেন। কিন্তু কখনও বাবাকে সংসারের ব্যাপারে চিন্তা করতে দেননি। তিনি সব সময় বাবাকে বলতেন- তুমি রাজনীতিতে সময় দাও, আমি সংসার দেখছি। কিন্তু তিনি যে শুধু সংসারই দেখতেন তা নয়, সংগঠনেও সময় দিতেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নানা প্রতিকুলতায় কখনও মায়ের কোন অভিযোগ, অনুযোগ দেখিনি। যখন জীবন যেমন, তখন তিনি তা মেনে নিয়েছেন।

করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে চলমান বিশ্ব সঙ্কটের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে সাশ্রয়ি হতে হবে। প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে চলতে হবে, এতে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। বিশ্বব্যাপী পানির সঙ্কট চলছে, আমাদের অপচয় রোধ করতে হবে।