• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সকলকে নিরলস প্রচেষ্টা চালাতে হবে

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ অক্টোবর ২০২২  

কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সকলকে নিরলস প্রচেষ্টা চালাতে হবে               
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, কৃষিক্ষেত্রে লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও তার যথাযথ ব্যবহারে কৃষিবিজ্ঞানী, কৃষক, কৃষি সম্প্রসারণবিদ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। 

তিনি বলেন, আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে সাফল্য তার মূল বুনিয়াদ গড়ে উঠেছে একটি টেকসই কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার মাধ্যমে। এই বুনিয়াদের ওপর ভর করে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। 

রাষ্ট্রপতি বলেন ‘আমি আশা করি, কৃষিখাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলে তাদের জ্ঞান, মেধা ও শ্রম দিয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে অবদান রাখবেন।’ রাষ্ট্রপতি আগামীকাল সোমবার ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬’ প্রদান উপলক্ষে আজ এক বাণীতে একথা বলেন। 

কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬’ প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যারা বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, আমি তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। এ পুরস্কার কৃষির সাথে সম্পৃক্ত সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আরও উৎসাহিত করবে এবং কৃষির চলমান অগ্রযাত্রাকে বেগবান করবে বলে আমার বিশ্বাস।’ 

তিনি বলেন, আবহমান কাল থেকে দেশের অর্থনীতিতে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আমাদের জীবন-জীবিকা, কর্মসংস্থান, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য কৃষিকে ঘিরে। আয়তনে ছোটো ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ আজ দানাদার খাদ্যের উদ্বৃত্ত দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। 

আবদুল হামিদ উল্লেখ করেন, খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম ১০টি দেশের কাতারে রয়েছে। মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনেও দেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষিতে বাংলাদেশের দৃশ্যমান এ সাফল্যের সূচনা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে। স্বাধীনতার পরপরই তিনি কৃষির উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন করেন। তার (বঙ্গবন্ধুর) দেওয়া প্রথম উন্নয়ন বাজেটের ৫শ’ কোটি টাকার মধ্যে ১০১ কোটি টাকাই ছিল কৃষি উন্নয়নের জন্য। 

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতার প্রদর্শিত পথেই বর্তমান সরকার কৃষির সার্বিক উন্নয়নে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। সরকারি অর্থায়নে বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে উদ্ভাবিত হচ্ছে উচ্চ ফলনশীল এবং বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী পরিবেশ সহনশীল বিভিন্ন জাত ও প্রযুক্তি; যা দেশের সার্বিক কৃষি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। 

তিনি ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬’ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।