• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

লাভের আশায় আগাম রসুন চাষে ব্যস্ত খানসামার কৃষকরা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২২  

লাভের আশায় আগাম রসুন চাষে ব্যস্ত দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কৃষকরা। চলতি মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকহারে রসুন চাষ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।

বাজারে রসুনের দাম ভালো থাকায় এমন আগ্রহ চাষিদের। অন্যান্য ফসলের তুলনায় রসুনে লাভও বেশি পাওয়া যায়। আবহাওয়া রসুন চাষের উপযোগী হওয়ার কারণে ফলনও বেশ ভালো হয়। তাই তো অধিক লাভের আশায় সাদা সোনা খ্যাত রসুন চাষে ঝুঁকছেন এ উপজেলার কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে রসুন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যেই প্রায় ৭৮০ হেক্টর জমিতে আগাম রসুন লাগানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ২ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম রসুন লাগানোর সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর উৎপাদিত রসুনের ভালো দাম পাওয়ায় এ বছরও অধিক মুনাফার আশায় কৃষকরা রসুন চাষে ঝুঁকছেন। সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় এবার উপজেলায় রসুনের ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ।

সরেজমিনে উপজেলার কায়েমপুর, জোয়ার, জুগীরঘোপা, আগ্রা, গুলিয়ারা, কাচিনীয়া, রামনগর ও গোয়ালডিহি গ্রামে ঘুরে দেখা যায়, কেউ কেউ রসুনের বীজ লাগাচ্ছে, কেউ কেউ জমি প্রস্তুত করছে। আবার কেউ কেউ রসুন চাষের জন্যে খড় সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে।

এছাড়াও পাড়ায় পাড়ায় জটলা বেঁধে রসুনের বীজ প্রস্তুত করতে কাজ করছেন বাড়ির মহিলা ও শিশুরা।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভালো লাভের আশায় অনেকে জমি বর্গা নিয়ে রসুন চাষ করেছেন। গত দুই বছর আগে যেখানে রসুন প্রতি মণের দাম ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা ছিল সেখানে গত বছর সাড়ে ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এজন্যই গত বছরে ভালো দাম পাওয়ায় এ বছরও কৃষকরা ব্যাপক হারে এবং গত বছরের তুলনায় এ বছরও রসুনের ফলন বেশি হবে বলে আশা করেন তারা।

খামারপাড়া ইউনিয়নের জুগিরঘোপা গ্রামের কৃষক এসলাম আলী জানান, প্রতি বিঘা জমিতে রসুন লাগাতে জমি তৈরি, বীজ, শ্রমিক, সার ও কীটনাশক, নিড়ানি ও উত্তোলন করতে ৪০-৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর রসুনের ফলন ভাল ও বাজারে দাম থাকলে লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় জানান, বর্তমানে উপজেলার কৃষকদের কাছে রসুন একটি অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল হয়ে উঠেছে। খরচ কম ও অধিক লাভ হওয়ায় বর্তমানে এই ফসলের ব্যাপক হারে চাষও করা হচ্ছে। রসুন চাষে কৃষককে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। আশা করছি এবারও কৃষকরা রসুনের ভাল ফলন ও দাম পাবেন।