• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

নববর্ষে মদপানে ৮১ জনের মৃত্যু: সেই মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যুদণ্ড

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০২২  

গাইবান্ধায় বিষাক্ত মদপানে ৮১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় মাদক ব্যবসায়ী রবীন্দ্রনাথ সরকারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবুল মনসুর মিয়া এ রায় ঘোষণা করেন। তবে দণ্ডিত রবীন্দ্রনাথ পলাতক রয়েছেন।

মামলার বরাত দিয়ে আদালতের পিপি ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স জানান, ১৯৯৮ সালের নববর্ষ (পয়লা বৈশাখ) রাতে গাইবান্ধায় বিষাক্ত মদপানে ৮১ জনের মৃত্যু ও অনেকে অন্ধ হয়ে যান। তারা বরীন্দ্র নাথের ন্যাশনাল হোমিও হল থেকে রেকটিফাইড স্পিরিট কিনে সেবন করেন। ওই দিন অতিরিক্ত লাভের আশায় দোকানে ও বাড়িতে মজুত রেকটিফাইড স্পিরিটে বিষাক্ত মিথানল মিশিয়ে বিক্রি করেন রবীন্দ্রনাথ। এ বিষাক্ত স্পিরিট খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার দিন ১১ জন মারা যান। পরে বিভিন্ন স্থানে হাসপাতালে ও গোপনে মারা যান আরো ৭০ জন। বিষাক্ত মদপানে অনেকে অন্ধ হয়ে পড়েন। ওই ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন গাইবান্ধা সদর থানার তৎকালীন পরিদর্শক জাকির হোসেন।

এছাড়া গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গাইবান্ধা সদর থানার তৎকালীন পরিদর্শক সত্য রঞ্জন ভদ্র। ময়নাতদন্তের জন্য এসব মরদেহ গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু ময়নাতদন্ত মুলতবি রেখে কাবলু, বাকি, সুজন ড্রাইভার, মোহাম্মাদ হোসেন ও বিশুর ভিসেরা রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠান চিকিৎসক। রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদনে ভিসেরায় বিষাক্ত মিথানলের সন্ধান মেলে।

১৯৯৮ সালের ৬ জুলাই মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। এরপর ১৪ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ও মৃণাল কান্তির বিরুদ্ধে ২০০২ সালের ২৮ জুলাই আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্ত সিআইডি কর্মকর্তা আবদুর রহমান। পরে বিচারের জন্য নিম্ন আদালত থেকে মামলার নথিপত্র গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। মামলার পরপরই বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান রেখে পালিয়ে যান রবীন্দ্রনাথ। চার্জ গঠনের পর মারা যান মামলার আসামি মৃণাল কান্তি। তদন্ত শেষে রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন গাইবান্ধা সিআইডির তৎকালীন পরিদর্শক আবেদ আলী। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রায় দেন বিচারক।