• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

যার যত উচ্চতা তার ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকিও তত বেশি: গবেষণা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩  

ক্যানসার একটি মরণ ব্যাধী হিসেবেই সারা বিশ্বে পরিচিত। যদিও প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগ ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা সম্ভব। আর যদি ধরা না পড়ে তাহলে ক্রমেই ডালপালা বিস্তার করে মানুষকে মৃত্যুর দুয়ারে নিয়ে যায় ক্যানসার।

বাইরের উন্নত দেশে নানা রকম পরীক্ষার মাধ্যমে সহজেই এই রোগ চিহ্নিত করা যায়। তবে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে তা কঠিন, সময়সাপেক্ষ এবং বিরাট খরচেরও ব্যাপার। তবে বাহ্যিক বেশ কিছু পরিবর্তন দেখেও বোঝা যায় কেউ ক্যানসারে আক্রান্ত কি না।

কিন্তু ভবিষ্যতে কেউ ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন কি না, তা কি বাইরে থেকে নির্ধারণ করা সম্ভব? ‘ওয়ার্ল্ড ক্যানসার রিসার্চ ফান্ড ইন্টারন্যাশনাল’-এর সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, তা-ও সম্ভব। ওই গবেষণা মতে, যাদের উচ্চতা যত বেশি, তাদের নাকি ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও তত বেশি।

যাদের উচ্চতা বেশি, তাদের বিশেষ করে জরায়ু, প্রস্টেট, অগ্ন্যাশয়, স্তন এবং কিডনির ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কয়েক গুণ বেশি। তুলনায় কম উচ্চতার মানুষরা নিরাপদ।

বিশ্বের সব দেশে নাগরিকদের খাদ্যাভাস, ওজন এবং শরীরচর্চার সঙ্গে ক্যানসারের কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা চালানোর পর গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।

ওই গবেষণা থেকে আরও জানা যায়, প্রতি ৫ সেন্টিমিটার উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিডনিতে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় ১০ শতাংশ। ঋতুবন্ধের আগে বা পরে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন ১১ শতাংশ দীর্ঘাঙ্গী মহিলা।

এছাড়া জরায়ু, অগ্ন্যাশয়, মলাশয় এবং প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় যথাক্রমে আট, সাত, পাঁচ এবং চার শতাংশ।

কিন্তু উচ্চতার সঙ্গে ক্যানসারের সম্পর্ক কী?

গবেষকরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে ক্যানসার নির্ধারণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারও দৈর্ঘ্য নয়। মাথা থেকে পায়ের দূরত্ব। জন্মগত ভাবে পাওয়া উচ্চতায় বদল আনা সম্ভব নয়।

উচ্চতার পাশাপাশি আর কোন কোন লক্ষণ দেখলে টের পাবেন?

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়েও ক্লান্তি কাটতে না চাওয়া, অস্বাভাবিক হারে ওজন কমে যাওয়া, দেহে যত্রতত্র ফোড়া বা টিউমার গজিয়ে ওঠা, অকারণেই সারা দেহে ব্যথা, যন্ত্রণা হওয়া, শ্বাসকষ্ট, কাশি, বুকের হাড়ে ব্যথা হওয়া, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হওয়া এবং রাতে ঘুসঘুসে জ্বর হওয়া।

এসব লক্ষণ দেখলে দেরি না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের গিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নেওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা। কারণ, সঠিক সময়ে ক্যানসার ধরা পড়লে তা সারিয়ে তোলা সম্ভব- এ কথা তো আগেই বলা আছে।