• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

‘ছাত্র-ছাত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর’

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩  

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর আজকের ছাত্র-ছাত্রীরা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকায় সোনার ছেলে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এগিয়ে চলেছে। 

মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁও বিএফডিসির ৮ নম্বর ফ্লোরে পার্বত্য বিতর্ক উৎসব ২০২৩ এর গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও সংস্কৃতিসহ কোনোদিকেই এখন আর পার্বত্য অঞ্চল পিছিয়ে নেই উল্লেখ করে বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা বিকাশে সরকার যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে এ অঞ্চল দেশের জন্য বিশাল সম্পদে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির পর সুদীর্ঘ সময় ধরে নানাভাবে শোষণ-বঞ্চনার শিকার পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা সূচিত হয়েছে। দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী আজ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছে। শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে নানাভাবে অবদান রাখছে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠী। আগামী দিনে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে তাদের গড়ে তোলার জন্য শুধু সরকার নয়, সমাজের সবার ইচ্ছা, আগ্রহ ও সহযোগিতা প্রয়োজন। 

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকায় এ সরকার আগামী ২৩ জুনের মধ্যে ৪২ হাজার ৫০০ পরিবারকে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ কাজ সম্পন্ন করবে। এ সরকার প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত করবে।

পার্বত্য অঞ্চলের কৃষি উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ অঞ্চলের এক ইঞ্চি জায়গাও পতিত ফেলে রাখা হবে না। উৎপাদনের দিক দিয়ে কৃষিক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এনে দেবে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ।

বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, কৃষকদের জন্য সরকারিভাবে সেচনালা, পাওয়ার পাম্প, পাওয়ার টিলার ও ধান মাড়াই মেশিনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রমাণ করে দেব পার্বত্য অঞ্চল দেশের জন্য বোঝা নয়, পার্বত্য অঞ্চল দেশের জন্য একটা সম্পদ।

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য বিতর্ক উৎসব-২০২৩ এর গ্র্যান্ড ফাইনাল প্রতিযোগিতায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং রাঙ্গামাটির মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয় অংশ নেয়। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন বিজয়ী দলের সুজাতা চাকমা।