• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

`ক্রয়মূল্য দিলে গ্যাস-বিদ্যুত সরবরাহে ঘাটতি থাকবে না`  

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

ক্রয়মূল্য দিলে গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনও ঘাটতি থাকবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্যাস-বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেওয়া যাবে যদি সবাই ক্রয়মূল্য যা হবে সেটা দিতে রাজি থাকে। তাহলে দেওয়া যাবে, তাছাড়া কত ভর্তুকি দেওয়া যায়। আমরা এ ক্ষেত্রে কেনো ভর্তুকি দেবো।

তিনি বলেন, আমরা যে বিদ্যুৎটা দেই, এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১২ টাকা খরচ হয়। আমরা নিচ্ছি মাত্র ৬ টাকা। ইংল্যান্ডে দেড়শ ভাগ দাম বাড়িয়েছে। এটা সবার মনে রাখতে হবে। আমরা কিন্তু এখনও সেই পর্যায়ে যাইনি।

গতকাল রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ'র (বিডা) নিজস্ব প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভর্তুকি দিচ্ছি কৃষি খাতে, খাদ্য উৎপাদনে। আমরা করোনা যাতে মোকাবিলা করতে পারি, বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি, যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পকারখানা চালু থাকে। আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়েছি। আমরা বিদেশি বিনিয়োগ চাই, তার সঙ্গে সঙ্গে চাই যে, আমাদের দেশের যুব সমাজ নিজেরাই বিনিয়োগকারী হবে।

তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে ৪৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রেখে গিয়েছিলাম, ২০০৯ সালে এসে দেখলাম সেটা কমে ৩০০০ মেগাওয়াটের দিকে নেমে গেছে। আমি জানি না কোনো দেশ পেছনের দিকে যায় কি না। আজকে দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের প্রত্যক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবো, আমরা পৌঁছে দিয়েছি।

বিদ্যুতের সঙ্গে সেসময় খাদ্য উৎপাদনেও দেশ পিছিয়ে যায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। আমরা খাদ্য উৎপাদন করে, স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে ২০০১ এ যখন ক্ষমতা থেকে যাই, তখন ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উদ্বৃত্ত রেখে গিয়েছিলাম। ২০০৯ এ এসে দেখি আবার আমরা খাদ্য ঘাটতির দেশ।’