• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

সবার মতামত নিয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণ: ইসি আলমগীর

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

সবার মতামত নিয়ে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ শুরু করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি কমিশনের বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। 

তিনি বলেছেন, জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে। তবে প্রশাসনিক অখণ্ডতাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। গতকাল রবিবার নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সাবেক এ ইসি সচিব বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে জনসংখ্যার চূড়ান্ত রিপোর্ট আমরা এখনো পাইনি। আমাদের অপেক্ষা করা একটু কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমাদের কাজ শুরু করতে হবে। তবে আর অপেক্ষা করব না। দ্রুত কাজ শুরু করব।

ইসি আলমগীর বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা হচ্ছে তিন নম্বর গুরুত্ব। প্রথম গুরুত্ব হচ্ছে প্রশাসনিক—যদি কোনো প্রশাসনিক পরিবর্তন না হয়ে থাকে তাহলে তো আমাদের পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই। যদি কোনো ভৌগোলিক পরিবর্তন না হয়ে থাকে তাহলেও করার প্রয়োজন নেই। এরপর যতদূর সম্ভব জনসংখ্যাকে আমলে নেওয়া।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, শুধুমাত্র একটাই ফ্যাক্টর আছে, সেটা হলো জনসংখ্যার কারণে। জনসংখ্যাটাকে তো আর সমবণ্টন করা যায় না। একটা মেলাতে গেলে আরেকটা মেলে না। আপনি যদি প্রশাসনিক অখণ্ডতা ঠিক রাখেন তাহলে দেখা যায় যে, প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডটা ঠিক রাখলে জনসংখ্যা মেলানো কঠিন হয়ে যায়। কারণ এটা কখনোই মেলানো সম্ভব না। এমনকি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেখবেন কোথাও কোথাও পৌনে ৩ লাখ লোক আছে। আবার কোথাও কোথাও প্রায় ১১-১২ লাখ লোকও আছে।  তবে গড়ে প্রতি আসনে ৫ লাখ ভোটার হবে। জনসংখ্যা ধরলে শহরে আসন বাড়বে। এক্ষেত্রে ঢাকায় আরো আসন বেড়ে যাবে। এখন কোন পদ্ধতিতে সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ করব—সেটি আগামী সভায় চূড়ান্ত করা হবে।

তিনি বলেন, একেবারে জিরো থেকে আমরা কাজ শুরু করব। পূর্বের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে। যারা আসনের পরিবর্তন চান এবং কেন চান—তার যৌক্তিক কারণগুলো বলতে হবে। ইতিমধ্যে কয়েক জন জনপ্রতিনিধি তার নিজের আসন বহাল রাখার জন্য আমাদের বলেছেন। আবার অনেকেই পরিবর্তনের কথা বলেছেন। এগুলো কীভাবে করা হবে—তার বিস্তারিত জানানো হবে। 

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি এ নিয়ে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঐ সভায় আমাদের কর্মপরিকল্পনা কী হবে তা ঠিক করা হবে। সবার কাছ থেকে বিদ্যমান আসনের ওপর মতামত গ্রহণ করা হবে। তবে প্রশাসনিক কাঠামো জোর দেব। সবার মতামতের পর খসড়া তালিকা প্রকাশ করব। এরপর শুনানি হবে। শুনানি শেষে আগামী জুনের মধ্যে সীমানা পুনর্নির্ধারণ চূড়ান্ত করা হবে।