• বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

সবাইকে নির্ধারিত মূল্যে এলপি গ্যাস বিক্রি করতে হবে

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, সবাইকে সরকার নির্ধারিত মূল্যেই এলপি গ্যাস বিক্রি করতে হবে। এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রির সুযোগ নেই।

এ সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে সবার সঙ্গে সভা আয়োজনের মাধ্যমে সমন্বয় করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এলপি গ্যাসের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে যে সব সাজেশন এসেছে তা সুপারিশসহ একটি লিখিত প্রতিবেদন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে পাঠানো হবে। 

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কারওয়ান বাজারের ভোক্তা অধিকারের প্রধান কার্যালয়ে এলপি গ্যাসের মূল্য বিষয়ে এলপি গ্যাস উৎপাদনকারী, বাজারজাতকারী ও ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকরা, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের প্রতিনিধি, এফবিসিসিআই প্রতিনিধি, ক্যাবের প্রতিনিধি, এনএসআইয়ের প্রতিনিধি, এলপি গ্যাস সমবায় সমিতির সভাপতিসহ উৎপাদনকারী এবং বাজারজাতকারী (বেক্সিমকো, ফ্রেশ, জেএমআই, ওরিয়ন, বসুন্ধরা, ওমেরা, এনার্জিপ্যাক, লাফজ, ডেল্টা, বিএম এনার্জি ইত্যাদি) প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।

সভায় এলপি গ্যাস খুচরা পর্যায়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) থেকে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রয় করা, খুচরা বিক্রেতারা ডিলারদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে এলপি গ্যাস ক্রয় করা, ডিলার কোম্পানির কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে এলপি গ্যাস ক্রয় করা, খুচরা/ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে দোকানে/বিক্রয় কেন্দ্রে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আবশ্যকীয় লাইসেন্স/কাগজপত্র না থাকা কিংবা হালনাগাদ না থাকা, মেয়াদউত্তীর্ণ সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রয় করা, অসাধু ব্যবসায়ী কর্তৃক গ্যাস সিলিন্ডার ক্রসফিলিং করা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

এলপি গ্যাস সমবায় সমিতির সভাপতি বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে এলপি গ্যাস বিক্রির সুযোগ নেই। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বেশি মূল্য রাখা, পরিবহন খরচ বৃদ্ধিসহ ইত্যাদি কারণে এলপি গ্যাসের দাম বাড়তি রাখা হচ্ছে।   

এছাড়া এলপি গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি, উৎপাদনপর্যায়ে খরচ বৃদ্ধি, এলসি সমস্যা ইত্যাদি বিষয়সমূহকে গ্যাসের বাড়তি দামের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।