• মঙ্গলবার   ২১ মার্চ ২০২৩ ||

  • চৈত্র ৬ ১৪২৯

  • || ২৬ শা'বান ১৪৪৪

সর্বশেষ:
জনগণ বিএনপি-জামায়াতকে আর ক্ষমতায় আসতে দেবে না: প্রধানমন্ত্রী তথ্য-প্রযুক্তি ও যোগাযোগ খাতে বাংলাদেশে বিপ্লব ঘটেছে: স্পিকার বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে কখনো আপস নয়-পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ১১০০ রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া চলছে: পররাষ্ট্র সচিব ভারতকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

কুড়িগ্রামের যে কলেজের সবাই ফেল

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

কুড়িগ্রামে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় সিঙ্গার দাবরীরহাট বিএল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে সাত শিক্ষার্থী অংশ নেন। তবে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, তাদের সবাই ফেল করেছেন।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক তোফাজ্জুর রহমান সই করা ফলাফলের তালিকায় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে রাজাহাট উপজেলার সিঙ্গার দাবরীরহাট বিএল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ১১ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করলেও অংশ নেন সাতজন। তবে এই কলেজ থেকে কেউ এবার কৃতকার্য হতে পারেননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি মানবিক শাখা থেকে এবছর সিঙ্গার দাবরীরহাট বিএল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে থেকে পরীক্ষা দিই। আশা করেছিলাম, পাস করবো। তবে অন্য বিষয়ে ভালো নম্বর পেলেও ইংরেজিতে ফেল করেছি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের শিক্ষকরা ঠিকমতো ক্লাস না নেওয়ায় আমার আজ এ পরিস্থিতি।

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমার বিশ্বাস ছিল পাস করবো। কিন্তু শেষে ফলাফল দেখে হতাশ হলাম।

এক অভিভাবক মো. একরামুল হক বলেন, সিঙ্গার দাবরীরহাট বিএল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ উপজেলার একটি নামকরা কলেজ। আমার মেয়ে এ কলেজের বাণিজ্য শাখা থেকে পরীক্ষা দিয়েছে। আজ এইচএসসি ফলাফল হলো, শুনলাম শুধু আমার মেয়েই নয়, ওই কলেজ থেকে যারা পরীক্ষা দিয়েছে সবাই নাকি ফেল করেছে।

এ বিষয়ে সিঙ্গার দাবরীরহাট বিএল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমার কলেজ থেকে এবছর ১১ জন এইচএসসি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিল। তবে পরীক্ষায় অংশ নেয় সাত জন।

পরীক্ষায় কেউ পাস না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একাই তো আর কলেজ চালাতে পারি না। কলেজের অন্য শিক্ষকরা এখানে অনিয়মিত। তারা যদি নিয়মিত কলেজে আসতো, শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সক্রিয় থাকতো তাহলে ফলাফলের এই হতাশায় পড়তাম না।